ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গত কয়েকদিন ধরে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন? কোথায় হবে শপথ গ্রহণ? সব কিছু নিয়েই তৈরি হয়েছিল জটিলতা। অবশেষে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু স্পিকার উপস্থিত থাকাকালীন কেন ডেপুটি স্পিকারের কাঁধে এই দায়িত্ব? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবার এই দায়িত্ব স্পিকারকেই নেওয়ার প্রস্তাব দেবেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর? দায়িত্ব নেবেন স্পিকার? নাকি রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব উলটে ডেপুটি স্পিকারকে দেবেন স্পিকার? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে মনে করা হচ্ছে, জটিলতা কাটিয়ে আজই শপথ নিতে পারবেন সদ্য নির্বাচিত সায়ন্তিকা ও রেয়াত।
সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথ নিয়ে টালবাহানা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রাজভবনে গিয়ে তাঁদের শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু তাতে নারাজ ছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়করা। তাই তাঁরা বিধানসভার সামনে ধরনায় বসেন। অবশেষে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে এই দায়িত্ব পাওয়ার পরই ডেপুটি স্পিকার বলেছিলেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।”
[আরও পড়ুন: মালদহ মেডিক্যালের মুকুটে নতুন পালক, চালু উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় আই ব্যাঙ্ক]
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে শপথ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজভবনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এদিন ডেপুটি স্পিকারেরই সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করানোর কথা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এদিন এই দায়িত্ব স্পিকারকেই নেওয়ার প্রস্তাব দেবেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি তিনি রাজি হন, সেক্ষেত্রে পুনরায় রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন। অন্যথায় রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে উলটে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিতে পারেন স্পিকার। তবে নিয়ম যাই হোক, বিধানসভার অধিবেশনে সর্বসম্মত দাবিকে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে অধিবেশন সর্বসম্মতভাবে কোনও দাবি জানাতে পারে। আর তা হতে পারে শপথ পাঠের ক্ষেত্রে স্পিকারের উপর সর্বসম্মত দায়িত্ব দেওয়ার দাবির স্বপক্ষে।