রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: ১৫ ঘণ্টা সিবিআই তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিদায়ের পর ইদ উপলক্ষে ভুরিভোজ – এসব পর্ব মিটিয়ে এবার সংবাদমাধ্যমের উপর কার্যত ‘অভিমানী’ হয়ে পড়লেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা (Tapas Saha)। জানিয়ে দিলেন, তিনি আর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না। সাম্প্রতিক বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন বিধায়ক। এ বিষয়ে যা বলার, বলবেন দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব। এমনই বললেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, কর্মী। তাঁদের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে আরও কয়েকজন বিধায়কের নাম। সেভাবেই তেহট্টের তাপস সাহার নামও দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত হিসেবে উঠে এসেছিল সিবিআইয়ের হাতে। গত সপ্তাহে তাঁর বাড়ি, অফিস দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তল্লাশি চলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের ডেরায়ও।
[আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার! প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা]
বিধায়কের আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়িতেও সূত্রের খোঁজে যান সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও তাপস সাহা কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। তাপস সাহা দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করছে সিবিআইও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা চলে যেতেই রান্নাবান্না করে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়েছিল বিধায়কের বাড়িতে। তা নিয়ে সাফাইও দেন তিনি। তবে এবার এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আর মুখ খুলতে চাইছেন না তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে তিনি অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন, তাঁর কথাকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিকৃত করা হচ্ছে, তাই আর সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন না।
[আরও পড়ুন: গরমকে টেক্কা দিতে সুইমিং পুলে ঋতুপর্ণা, ছবি দেখে কী প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের?]
সেইসঙ্গে বিধায়কের আরও অভিযোগ, প্রবীর কয়াল ঠক ও প্রবঞ্চক, মানুষের টাকা নয়ছয় করে চলে গিয়েছেন। তাই তাঁর সম্বন্ধেও তিনি কিছুই বলতে চান না। এবার থেকে যা বলবার দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব কথা বলবে। কারণ, শীর্ষ নেতৃত্বের কথাই শেষ কথা।