সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) সমন পাওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দিলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা (Tapas Saha)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এড়াতেই তিনি তড়িঘড়ি সিবিআই দপ্তরে হাজির হলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের স্ক্যানারে আসলে তাপস সাহার আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল। তাঁর বাড়ি থেকে দুর্নীতি প্রমাণ স্বরূপ বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। আর তাই তাঁর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতেই বিধায়ককে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে নদিয়ার তেহট্টের (Tehatta) কড়ুগাছি এলাকায় বিধায়কের বাড়ি, অফিস ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে টানা ১৫ ঘণ্টা করে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। তাতে একাধিক দপ্তরে নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়ি থেকেও বেশ কিছু জরুরি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অন্যান্য নেতানেত্রীর বাড়িতেও চলে তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: মিথ্যে মাদক মামলায় কাউকে জড়ালে জরিমানা দিতে হবে পুলিশকে, রায় হাই কোর্টের]
শিক্ষা দুর্নীতির তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে সিবিআই ধৃতদের মুখে বহু নামই শুনেছে। আদালতেও পৌঁছেছে সেসব নাম। সেভাবেই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার নাম উঠে এসেছিল। হাই কোর্ট মনে করেছে, তাপস সাহাকেও এই তদন্তের আওতায় আনা উচিত। আদালতের নির্দেশ পেয়েই গত সপ্তাহে তেহট্টের কড়ুগাছিতে তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। যদিও প্রথম থেকেই তিনি সহযোগিতা করেছেন। বারবার দাবি করেছেন, তাঁর লুকনোর কিছু নেই। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁর বাড়ি, অফিস থেকে কাগজপত্র উদ্ধার করলেও তেমন শক্তপোক্ত প্রমাণ নেই। তাই তাপস সাহার গ্রেপ্তারির আশঙ্কা কম।
[আরও পড়ুন: ‘৬০ দিন ছাড়ুন, ৬ দিন রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে থাকুন’, বিজেপিকে পালটা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
বরং তাঁর আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালকে নিয়ে অনেক বেশি সন্দিহান সিবিআই তদন্তকারীরা। আমলা নিয়োগের জন্যও টাকা নেওয়ার নথি মিলেছে তাঁর বাড়ি থেকে। তাপস সাহাও তাঁকে ‘ঠগ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর ব্যাপারে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। আর তাই তাঁকে নিজামে তলব।