রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শিক্ষক নিয়োগ থেকে রেশন দুর্নীতি। একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। তারই মাঝে আয়কর দপ্তরের নজরে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক। নোটিস দিয়ে তাঁর কাছ থেকে গত দুবছরের আয়ব্যয় সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিধায়ক উত্তম বারিক আয়ব্যয় সংক্রান্ত গরমিল পেয়েছে আয়কর দপ্তর। তিন বছর তিনি আয়কর রিটার্ন জমা দেননি বলেও অভিযোগ। সে কারণে আয়কর দপ্তরের নোটিস তৃণমূল বিধায়কের। আগামী ৮ জানুয়ারি তাঁকে আয়ব্যয় সংক্রান্ত নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দপ্তর। আয়কর দপ্তর যে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক। তবে তাঁকে স্বশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়নি বলেই দাবি উত্তমবাবুর। তাঁর দাবি, গত দুবছরের আয়ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আয়কর দপ্তর। আইনজীবী মারফতও তিনি আয়কর দপ্তরে নথি পাঠাতে পারেন।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে শুরু হতে পারে হৃদরোগের মহামারী! আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার JN.1 উপরূপ]
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। ম্যারাথন তল্লাশির পর কার্যত শূন্য হাতেই তাঁর বাড়ি থেকে বেরন আধিকারিকরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শুধুমাত্র বায়রনকে হেনস্তা করা হয়েছিল বলেই পালটা অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ককে তলবের নেপথ্যেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই দেখছে ঘাসফুল শিবির। যদিও বিরোধী গেরুয়া শিবির সে কথা মানতে নারাজ। পালটা বিজেপির কটাক্ষ, “আরও কত তৃণমূল নেতাকে জেলে যেতে হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আমজনতা।”