সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ (TMC leader Arpita Ghosh) । সূত্রের খবর, দলের নির্দেশেই ইস্তফা দিলেন তিনি। সংসদের বদলে দলের সাংগাঠনিক কাজে তাঁকে নিয়োগ করা হতে পারে বলে খবর তৃণমূল (TMC) সূত্রে। তবে তাঁর ছেড়ে যাওয়া পদে কাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে তৃণমূল, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বুধবার সকালেই দিল্লি গিয়েছিলেন সাংসদ। সংসদে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা করেন তিনি। তার পর এদিন রাতের বিমানেই কলকাতা ফিরে এসেছেন অর্পিতা। কিন্তু এ নিয়ে তৃণমূল বা প্রাক্তন সাংসদ, কারোরই প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: বাড়তে চলেছে সুইগি, জোমাটো থেকে খাবার আনানোর খরচ! লাগু হতে পারে GST]
২০১৯ সালে বালুরঘাট লোকসভা আসন থেকে লড়াই করেছিলেন অর্পিতা। কিন্তু তিনি পরাজিত হন। এরপরই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে মোদি সরকারের বিরোধিতায় আক্রমণাত্মক ভূমিকায় তাঁকে দেখা যেত। বাদল অধিবেশনে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদের জেরে তাঁকে সাসপেন্ডও করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। এর পর আচমকাই তাঁকে ইস্তফা দিতে বলল দল। যা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বাংলার পর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। তাই অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে সর্বভারতীয় স্তরের কোনও নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে বলেই জল্পনা।
এদিকে মন্ত্রী মানস ভুঁই়ঞার ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম ঘোষণার পর বুধবারই প্রথম বিধানসভায় আসেন সুস্মিতা। বাংলা থেকে রাজ্যসভায় যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগে অসম ও ত্রিপুরায় রাজনীতি করলেও বাংলায় করেননি। এবার মুখ্যমন্ত্রী সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। তারজন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাপ্রকাশও করেন। তাঁকে মনোনয়ন দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভালবাসার বহিপ্রকাশ বলেই মনে করেন তিনি। যদিও উত্তর পূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য ত্রিপুরার শাসক ও বিরোধীদলকে নিশানা করেন সুস্মিতা দেব।
[আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় প্রথম একশোয় মোদির সঙ্গে মমতাও]
বিরোধী দলের কার্যালয় ও সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে শাসকদলের আক্রমণের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “যেভাবে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে গণতন্ত্রে তা করা যায়না।” সেখানকার শাসকদল তৃণমূলের ওপর আক্রমণ শানালেও তাঁরা যে হিংসার পথে যাবেন না এদিন তাও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “বারবার সেখানে তৃণমূলকে কর্মসূচি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল শান্তির পথে হাঁটবে। বিজেপি ও পুলিশ যতো বাধা দেবে ততই ত্রিপুরায় তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বাড়বে।”