সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) রাজনীতিতে ক্রমশই প্রভাব বিস্তার করছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালেই আগরতলায় পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সাংসদের ত্রিপুরা যাওয়ার কথা বুধবারই নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগরতলায় পৌঁছে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (TMC MP Derek O’ Brien)। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহরা (Amit Shah) জানেন শুধুই ভয় দেখাতে। সমালোচনা করতে। আমরা এগিয়ে যাবই।” সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা যাওয়ার কথা থাকলেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সফরসূচিতে সামান্য বদল হয়েছে। আগামী শুক্রবার দুপুরের বিমানে দিল্লি থেকে ত্রিপুরা পৌঁছতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কবে থেকে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালে শিক্ষকদের বদলির আবেদন? জানিয়ে দিল স্কুলশিক্ষা দপ্তর]
কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরা গিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের (I-Pac) প্রতিনিধিরা। সমীক্ষার কাজে তাঁরা ত্রিপুরা গিয়েছেন বলেই খবর। তাঁদের আগরতলার একটি হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অভিযোগ, আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা কোভিডবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদিও, পিকের দলের প্রতিনিধিদের বুধবারই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরার প্রশাসন। এ নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ TMC সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লিতে বসেই ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতার বক্তব্য, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। যেভাবে পিকের টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় যান। বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল প্রতিনিধিদের হেনস্তারও প্রতিবাদ করেছেন মমতা।