নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের সাসপেনশন নিয়ে বিভ্রান্তি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতাকে গোটা বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে পিছিয়ে এলেন চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তাঁর বক্তব্য, সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা থেকে ডেরেককে সাসপেন্ড না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর পরই মণিপুর ইস্যুতে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ডেরেক। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। রেগে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি ধনকড় বলে দেন, আপনি এই সদনের অপমান করছেন। এক্ষুণি অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। ধনকড় ঘোষণা করেন, গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদকে।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার রানি পাগল ছিলেন প্রেমে! জারের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ওঠা রাসপুতিন আজও রহস্যময়]
এরপরই ডেরেকের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাজ্যসভার কার্যাবলিতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। চেয়ারম্যানের অবমাননা করে রাজ্যসভার শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাব পেশের পরই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। ধনকড়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হন তাঁরা। তারপর বেলা বারোটা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। শেষপর্যন্ত ডেরেকের সাসপেনশনের প্রস্তাব নিয়ে আর ভোটাভুটি হয়নি।
[আরও পড়ুন: বন্ধু চল…! বিচ্ছেদ, অবসাদ, আত্মহত্যা রোধে মোক্ষম অস্ত্র বন্ধুত্ব? বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞরা]
পরে দেখা যায় অধিবেশন শুরু হতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতাকে রাজ্যসভায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্যসভার সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়নি। চেয়ারম্যান ধনকড় জানান, ‘সুদূরপ্রসারী’ চিন্তাভাবনা করে তিনি ডেরেক-কে সাসপেন্ড করার ব্যাপারে আর এগোননি। তাই ভোটাভুটিতেও হয়নি।