কৃষ্ণকুমার দাস: ভাই সৌমেন্দুকে (Soumendu Adhikari) অপসারণ নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এবার এবিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেবেন তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর ভাইকে দায়িত্বে পুর্নবহাল না করা হলে শুধু তিনি নন, তাঁর বাবা প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারীও যাবেন না পুরসভার অফিসে।
মঙ্গলবার রাতে সৌমেন্দু অধিকারীর অপসারণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রকাশ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কী থাকবে এই চিঠিতে? জানা গিয়েছে, বিষয়টি ব্যাখা করার পাশাপাশি এক বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুলে সাংসদ লিখছেন, “এক তৃণমূল নেতার মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে অবিচার ও অনৈতিক সিদ্ধান্তের শিকার হতে হচ্ছে সৌমেন্দুকে। অবিলম্বে তাঁকে দায়িত্ব ফেরাতে হবে। পুরনো প্রশাসক বোর্ডের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে।” নাহলে তাঁর পথে হেঁটে বাবা শিশির অধিকারীও পুরসভার অফিসে যাবেন না বলেই দাবি দিব্যেন্দুর। পাশাপাশি চিঠিতে সাফ দিব্যেন্দু লিখেছেন, তিনি এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই সৌমেন্দু তৃণমূলে ছিলেন আর আছেন।
[আরও পড়ুন: ‘সৌমেন্দুর অপসারণ দুঃখজনক’, ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে পুরসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিব্যেন্দুর]
কিন্তু দিব্যেন্দুর নিশানায় কে এই তৃণমূল নেতা? নাম না করে কাকে বিঁধলেন তিনি? ওয়াকিবহল মহল মনে করছে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকেই (Akhil Giri) নিশানা করেছেন তমলুকের সাংসদ। কারণ, সম্প্রতি সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে পুরসভায় বসে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ২৬ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন শীঘ্রই পদ থেকে সরানো হবে সৌমেন্দুকে। দিব্যেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভার উলটোদিকে একটি ঘর দেখেছেন অধিকারীরা। সৌমেন্দুকে দায়িত্বে না ফেরানো হলে সেখান থেকেই জনসংযোগের কাজ চালাবেন শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে নিয়ে চর্চার মাঝে সরকারের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের দ্বন্দ্ব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।