বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রয়াত বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। যকৃতে ক্যানসারে ভুগছিলেন। একাধিকবার ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। বুধবার দুপুর ১ টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ বারাসতের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংসদ। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পরিবারের সদস্য হাজি নুরুল ইসলাম(Haji Nurul Islam)। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। বসিরহাট কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন। তবে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে আর টিকিট পাননি। জঙ্গিপুর থেকে লড়েছিলেন। জিততে পারেননি। এর পর বিধানসভা ভোটে লড়েন। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া থেকে জেতেন। হাড়োয়ার বিধায়ক হলেও বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রথমে চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফের বসিরহাট থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল।
দীর্ঘদিন ধরে যকৃতে ক্যানসারে ভুগছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। তা সত্ত্বেও নাম ঘোষণার পর এলাকায় প্রচারে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। একদিন গিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ভোটে জয়ী হন তিনি। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে হাজি নুরুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হয়। বারাসতের বাড়িতেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। সাংসদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়।