সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) প্রশংসা করতে গিয়ে বেলাগাম হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে একজন সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তিনি। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা। তবে কি দলের মতামত নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদ, রাজনৈতিক মহলে মাথাচাড়া দিয়েছে সে জল্পনাও। যদিও তা মানতে নারাজ খোদ ঘাসফুল শিবিরই।
মদন মিত্রর পাশে দাঁড়িয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee) বলেন, “তৃণমূল জমানায় সেরা ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। কেউ রাগ করলে আমার কিছু যায় আসে না। আর কাউকে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসাবে মানি না। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি মন্ত্রিসভায় মদন মিত্রের নাম নেই।” প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য প্রায় তড়িৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। রাজনীতির আঙিনায় পা রাখার আগে প্রসূন ওতপ্রোতভাবে ক্রীড়া জগতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই ক্রীড়া জগতের প্রতি তাঁর যে আলাদা টান রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু নিজে একজন সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুললেন প্রসূন, রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সন্দেহ, তবে কি এবার ‘বেসুরো’ প্রসূনও?
[আরও পড়ুন: কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্র? জানতে পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি জেরা সিবিআইয়ের]
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিরোধী বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য মদনের প্রতি আনুগত্য কিংবা ভালবাসার প্রকাশ নয়। তাঁর কথায়, “এই মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের শেষের সময় এসে গিয়েছে।”
যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল শৃঙ্খলাপরায়ণ রাজনৈতিক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মানুষের আশীর্বাদে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি ঠিক করবেন কে কোন মন্ত্রী হবেন। আর কেউ তা ঠিক করতে পারেন না।” বিজেপি মুখপাত্র শমীককে খোঁচা দিয়ে শান্তনু আরও বলেন, “আপনার দলটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। তাই দলে অন্তর্কলহ দিন দিন বাড়ছে।”