সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: প্রথমবারের সাংসদ। লোকসভায় বলেকয়ে নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য কাজ আদায় করাটাই মূল লক্ষ্য। সেই কাজ যিনি যত ভালো করতে পারবেন, তিনি তত ভালো সাংসদের তকমা পাবেন। সাধারণত প্রথমবার এই কাজের পদ্ধতি বুঝে উঠতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিশেষত যাঁরা জনপ্রতিনিধি নন, তাঁদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে যায় এই কাজ। কিন্তু বাংলার শাসকদলের বর্ষীয়ান সাংসদরা কমবয়সিদের বেশ শিখিয়ে পড়িয়ে নেন। যার জোরে গোড়া থেকেই নিজেদের দাবি নিয়ে সংসদে সরব হতে দ্বিধা করেন না প্রথমবারের সাংসদরাও। যেমন যাদবপুরের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার লোকসভায় বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনই নিজের এলাকার কাজের জন্য বক্তব্য রাখলেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণে বারুইপুর মেট্রো সম্প্রসারণে থমকে যাওয়া কাজ চালু করার আবেদন জানালেন সায়নী।
কলকাতা (Kolkata) শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পাতালপথে সংযুক্ত। কলকাতা মেট্রো রেলের দৌলতে যাতায়াত খুব সহজ হয়ে গিয়েছে বহু বছর হল। এবার কাজ চলছে শহরতলি এলাকাগুলিকে সংযোগ করার। একেবারে প্রথম চালু হওয়া উত্তর-দক্ষিণাংশ দমদম থেকে টালিগঞ্জে মেট্রোপথ (Metro Railway) এখন অনেকটাই সম্প্রসারিত। উত্তর শহরতলির দক্ষিণেশ্বর এবং দক্ষিণে গড়িয়া পর্যন্ত পাতালপথে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur) পর্যন্ত মেট্রো পথও প্রস্তাবিত, বাজেটে পাশ করা হয়েছে। কিন্তু কাজ এগোয়নি এতটুকুও। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারুইপুর। তাই এখানকার ভোটে সাংসদ হয়েই বারুইপুরের মেট্রোরেল নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ।
[আরও পড়ুন: বাইডেনের পরে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা? রয়েছেন একাধিক চ্যালেঞ্জার]
সোমবার লোকসভায় (Lok Sabha) অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনই সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলেন। আর ২ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভাষণ তিনি জানালেন, কলকাতা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে বারুইপুর একেবারে উন্নয়নশীল এলাকা। দ্রুত নানাদিক থেকে তা উন্নতি করছে। জনবসতি বাড়ছে। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির চাহিদা রয়েছে। এই অবস্থায় এখানে মেট্রো পরিষেবা চালু জরুরি বলে মনে করছেন সাংসদ। ২০১১-১২ অর্থবর্ষের বাজেটে এই প্রকল্প পাশ হওয়ার পরও এতদিন ধরে থমকে কাজ। আদি গঙ্গার উপর দিয়ে মেট্রোলাইন তৈরির কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন, প্রস্তাব সবই হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি কিছুই। এবার কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করলে সেই কাজে দ্রুততা আসবে। তাই সায়নীর আবেদন, এ বিষয়ে যেন পদক্ষেপ নেয় নতুন সরকার। ভোটে জিতেই এলাকাবাসীর জন্য এভাবে সংসদে সরব হওয়ায় সায়নীর প্রশংসা করেছেন অনেকে।