নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মদন মিত্রের পর শতাব্দী রায়। এসএসকেএমের পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ফের সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বারবার ফোন করা সত্ত্বেও একজন রোগীর চিকিৎসায় কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি বলেই অভিযোগ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বলা হয় বলেই দাবি শতাব্দীর। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে বৈঠকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব চান সাংসদ। হাসপাতালে দালালরাজ বন্ধেরও আশ্বাস দেন।
শতাব্দী রায় বলেন, একজন রোগী ওই হাসপাতালে তাঁর সুপারিশে ভরতি হন। তা সত্ত্বেও কোনও পরিষেবা পাননি। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। সাংসদের প্রশ্ন, যদি সাংসদের সুপারিশের পরেও কোনও রোগী পরিষেবা না পান। তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে পাবেন। “এরকম চলতে পারে না”, বলেও জানান তৃণমূল সাংসদ। এমনই নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে আলোচনা হয়।
[আরও পড়ুন: নীতীশের ‘দৌত্য’, কেজরির সঙ্গে কথা বলেই খাড়গের সাক্ষাৎপ্রার্থী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী]
সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে-সহ অনান্য প্রশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সার্কিট হাউসের বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে অসিত মাল সরাসরি অভিযোগ করেন, রোগী ভরতি হচ্ছেন। কিন্তু যে চিকিৎসকের দিনে তিনবার হাসপাতালে রাউন্ড দেওয়ার কথা, তিনি আসছেন পরের দিন সকাল ন’টায়। রোগীরা পরিষেবা না পেলে অভিযোগ করবেই। শতাব্দী রায়ও জানান, ‘‘আমি নিজে এসে দেখে গিয়েছি। এমনকি সুপারকে ফোন করে বলেছি। তারপরেও কোনও পরিবর্তন নেই।’’
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হলেও সেখানে এমআরআই নেই। শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে আটজন চিকিৎসকের পরিবর্তে একজন আছেন। জেলাশাসক জানান, “কোথায় কি ঘাটতি আছে তা আমরা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছি। যাতে আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যস্তরে কথা বলতে পারি। আরও কীভাবে উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া যায় সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’ আগামিদিনে হাসপাতালে দালালরাজ বন্ধ হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দেখুন ভিডিও: