সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরীপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে যাওয়ায় অভিনেতা কৌশিক সেনকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। বললেন, “ও বরাবরই সিপিএম করে। কোনওদিনই মানুষের লড়াইয়ে ছিল না।” পালটা দিতে ছাড়েননি কৌশিক সেনও (Koushik Sen)।
৫৭৬ দিন ধরে মেয়ো রোডে ধরনা দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আদালত রায় দিয়েছে। তবু হাতে আসেনি চাকরির নিয়োগপত্র। কেউ ৫ বছর তো কেউ তিন বছর ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত। নিয়োগপত্রের দাবিতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে কেউ বা প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ কারোর নাম রয়েছে নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের তালিকায়। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেম ভাঙাতেই খুন! জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার দেহ উদ্ধারে নয়া তথ্য]
রবিবার চাকরীপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন অভিনেতা কৌশিক সেন, তাঁর স্ত্রী রেশমী সেন, ছেলে ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen) ও সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের স্বপক্ষে সুর চড়ান তাঁরা। তাঁর জেরেই সৌগত রায়ের কটাক্ষের শিকার হন অভিনেতা কৌশিক সেন। তৃণমূল সাংসদ এদিন বলেন, “কৌশিক আমার ছাত্র ছিল। ৮৭ সাল থেকেই ও সিপিএম করত। এখন সিনেমা, সিরিয়াল করে। মানুষের লড়াইয়ে ও কোনওদিনই ছিল না। নন্দীগ্রামে গুলি চলার ঘটনার পর একটু অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আবার নিজের জায়গায় ফিরে গিয়েছে।”
সৌগত রায়কে পালটা আক্রমণ করতে ছাড়েননি কৌশিক সেন। তিনি বলেন, “সৌগতবাবুর কথা ওনার দলের লোকরাও সিরিয়াসলি নেয় না। নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের সময় আমরা কে কী করেছি, খতিয়ান দেওয়ার দায়িত্ব আমার নয়। আজকেও যাদের জন্য লড়ছি, তাঁরা হকের লড়াই লড়ছে। কেউ গালাগাল দেওয়ার পরিবর্তে ওই মানুষগুলির চাকরি হলে খুশি হব।”