সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তৃণমূলেই আছি। দলের প্রতি আস্থা আছে।’ যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে শুক্রবার একথাই ঘোষণা করেছিলেন শতাব্দী রায়। আর সমস্যা মিটিয়েই এবার গোয়ায় পাড়ি দিচ্ছেন অভিনেত্রী তথা বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ।
বৃহস্পতিবার শতাব্দীর ‘বেসুরো’ ফেসবুক পোস্ট নজর কাড়ে সকলের। তবে কি শতাব্দীও নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে? ওঠে প্রশ্ন।শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছিলেনন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ। তবে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কুণাল ঘোষের সঙ্গে শতাব্দীও যান। বৈঠক হয় তাঁদের। বেরিয়েই মতবদল। জানিয়ে দেন, তৃণমূলেই আছেন। বাতিল করেন দিল্লি যাওয়ার কর্মসূচিও। রবিবার রামপুরহাট যাওয়ার কথা তাঁর। আর বুধবারই সপরিবার গোয়ায় ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন তিনি। ফেরার কথা ২৫ জানুয়ারি। কাজের চাপ থেকে সাময়িক বিরতি নিতেই ভ্রমণের পরিকল্পনা বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভরতির টোপ দিয়ে ৬০ লক্ষ টাকার জালিয়াতি]
তবে ফিরেই নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের কোনও ক্ষোভ কিংবা সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই তা মেটাবেন বলেও জানান বীরভূমের সাংসদ।
উল্লেখ্য, শনিবার দলের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন শতাব্দী (Shatabdi Roy)। লেখেন, “আজ একটা পোস্ট করব বলেছিলাম। এই লেখার মাধ্যমে আমার বক্তব্য জানাচ্ছি। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করছিলেন কেন এলাকার বহু কর্মসূচিতে আমায় দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমি তো সবসময়ই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে চাই। কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে এবার চেষ্টা করছি সব বাধা টপকে এলাকায় থাকার।” এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সাংসদ। লেখেন, “অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর মনের সেই কষ্ট অনেকটাই কেটেছে। আমি সমস্যাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন ও আলোচনা হয়েছে। যা বেশ ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলেই আমি আশাবাদী।” আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করে নেওয়ায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শতাব্দী।