সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালিতে নালিশের পাহাড়। সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা জমি, ভেড়ি লুট এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মহিলাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হত বলেই অভিযোগ। তা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তারই মাঝে বিস্ফোরক দাবি দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। তাঁর দাবি, “সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর কোনও অত্যাচার হয়নি। অত্যাচারের কোনও প্রমাণ নেই।”
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সৌগত রায়কে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। দমদমের সাংসদ বলেন, “সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে প্রমাণ থাকত। যদি কিছু ঘটেও থাকে, সেক্ষেত্রে মমতার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শাহজাহান, শিবু, উত্তমদের রাজ্য পুলিশই গ্রেপ্তার করেছে। সিবিআই বা ইডি নয়।” এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ। গোটা ঘটনাই সংবাদমাধ্যমের তৈরি বলে দাবি করেছিলেন সেই সময়। এবার আরও একধাপ এগিয়ে নারী নির্যাতনের অভিযোগই সারবত্তাহীন বলে দাবি করে বসেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় পার্টিতে কলেজছাত্রীকে মাদকাচ্ছন্ন করে ‘গণধর্ষণ’, ধৃত নাবালক-সহ ৫]
তবে সৌগত রায়ের আজব দাবি নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর চর্চা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর কটাক্ষ, “অধ্যাপক সৌগত রায় নারদ কাণ্ডে হাতে টাকা নিয়ে থ্যাঙ্ক ইউ বলেছিলেন। দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের, কিছু বললে ওরা ওকে বিপদে ফেলবে, তাই উনি দুষ্কৃতিদের হয়ে কথা বলছেন।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষও তাঁর সমালোচনায় সরব। বলেন, “দলের ভেতরেই অনেকে চাইছেন না সৌগতবাবু ফের সাংসদ হন। কিন্তু প্রার্থী পদটা ওঁর জরুরি, তাই আবার তোষামোদ শুরু করেছেন।”
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকরা শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি (Sandeshkahli)গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর অনুগামীদের হাতে। তার পরই এলাকাছাড়া হন সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা। প্রায় ৫৫ দিন পর তাঁকে মিনাখাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তৃণমূল (TMC) সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে আদালতের নির্দেশে শাহজাহান মামলা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে যায়। শাহজাহানের শাগরেদদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেও মামলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই দাবি করলেন সৌগত, উঠছে প্রশ্ন।