নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দীনেশ ত্রিবেদীকে (Dinesh Trivedi) নিয়ে এবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ১২ তারিখ অধিবেশনে তৃণমূলের বক্তব্য পেশের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন দীনেশকে বলতে দেওয়া হল? চিঠিতে এই প্রশ্ন তুলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়। পাশাপাশি তদন্তের আবেদনও করা হয়েছে। ওইদিনই বলতে উঠে নিজের দলত্যাগ, পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। আর তা নিয়েই আপাতত তৃণমূলের তিরে বিদ্ধ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
গত শুক্রবার দুপুরে রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল (TMC) সাংসদ বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন, ”আমার রাজ্যে হিংসা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কিছুই বলতে পারছি না। আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, কাজ করতে পারছি না।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু রাজ্যে ঘটে চলা হিংসাত্মক কার্যকলাপ রুখতে কিছুই করতে পারছি না। আমার আত্মা বলছে, এখানে থেকে যদি কিছুই করতে না পারি, তাহলে এই পদ ছেড়ে দেওয়াই উচিত।” এরপরই তিনি তৃণমূল এবং রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দেন।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে গোটা গ্রাম দখল করার হুমকি জঙ্গিদের! তড়িঘড়ি মোতায়েন সেনা, আতঙ্কে স্থানীয়রা]
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আরেক তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) বলেছিলেন, “ওঁর যখন দমবন্ধ হয়ে আসছিল, তখন দল ছেড়ে ভালই করেছেন। নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু একটা বিষয়ে খটকা লাগছে। যখন রাজ্যসভায় আমাদের দলের বলার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন চেয়ারম্যান কেন ওঁকেই বাজেট নিয়ে বলতে দিলেন! এটা তো নজিরবিহীন। সেই সময়েই সুযোগ পেয়ে উনি গোটা দেশের সামনে ওই কথাগুলো বলেছেন। আমাদের ধারনা, ওঁকে কথাগুলো বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।” ফলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোড়াতেই খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। ওইদিন তৃণমূলের তালিকায় দীনেশের নাম না থাকা সত্ত্বেও এবং দলের বলার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হল? এই প্রশ্ন তুলে এবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি লিখলেন সুখেন্দুশেখর রায়।পাশাপাশি, এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের আবেদন করেছেন।
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনার কবলে ১২ হাজার ১৯৪ জন, সামান্য বাড়ল অ্যাকটিভ কেস]
এদিকে তৃণমূলের সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। ফলে তৃণমূলের অন্যান্য দলত্যাগী নেতাদের মতো দল ছাড়ার পর তিনিও বিজেপির পথে পা বাড়াচ্ছেন কি না, তা নিয়েও তুমুল জল্পনা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে।সেই সম্ভাবনাই অধিক, দীনেশের গতিপ্রকৃতি থেকে এমনই ইঙ্গিত পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ।