সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayet Election) সামনে রেখে নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল – দিদির সুরক্ষা কবচ। তারই অংশ হিসেবে গ্রামে গ্রামে ঘুরে নাগরিকদের নালিশ শুনছেন ‘দিদির দূত’রা। সেই কাজে গিয়েই শুক্রবার দিকে দিকে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তাঁরা। বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রামে প্রথম বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। সেখানে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার পর তিনি হাসনের একটি গ্রামে যান। সেখানে পঞ্চব্যাঞ্জনে পাত সাজিয়ে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, থালা তিনি ছুঁয়েই দেখলেন না! সকলের সঙ্গে মাটিতে খেতে বসে ছবি তোলার পর তিনি সটান উঠে গেলেন! যদিও সাংসদের দাবি, সেখানে তিনি খাননি ঠিকই, কিন্তু পরে তাঁদের বাড়িতেই খেয়েছেন।
এদিকে, বীরভূমের দুবরাজপুরের (Dubrajpur) একটি গ্রামে জনসংযোগে গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ তথা তৃণমূলের আইটি সেলের রাজ্যের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debanghsu Bhattacharya)। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তিনি বালিজুড়ি গ্রামে যেতেই গ্রামের মহিলারা তাঁকে ঘিরে ধরে জানতে চান, ‘আপনি কে?’ তাতে দেবাংশু জানান, তিনি দিদির দূত। সকলে সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না, তা জানতে এসেছেন। তাতে আরও খেপে যান তাঁরা। দেবাংশুকে তাঁরা গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলেন।
তৃণমূলের সহ-সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) এদিন বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়ায় যান ‘দিদির দূত’ হয়ে। তারপর সেখানকার বাসিন্দাদের নালিশ শুনে তিনি ডায়েরিতে নথিভূক্ত করেন। সবরকম সমস্য়া সমাধানের আশ্বাস দেন।
[আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর প্রথমবার উঠে দাঁড়ালেন পন্থ, আর কতদিন থাকবেন হাসপাতালে?]
অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) ‘দিদির দূত’ প্রকল্প নিয়ে দলের সমর্থকদেরই ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক পান্নালাল হালদার। শুক্রবার সকালে দলের পতাকা নিয়ে একদল কর্মী, সমর্থক তাঁর বাড়ি ঘিরে ধরেন। অভিযোগ তোলেন, ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি একাই করছেন বিধায়ক। তাঁদের সঙ্গে নিচ্ছেন না। আধঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পালটা বিধায়কের অভিযোগ, সকলকে নিয়েই তিনি দলের কর্মসূচি পালন করতে চান। তাই অন্যদেরও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কেউ আসেননি। এখন উলটো চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।