সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Deb)বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা প্রয়োগ, শান্ত ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা-সহ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। সেসবের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিল ত্রিপুরার বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। রাজধানী আগরতলা-সহ বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শনে শামিল হবেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। আর এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝেই আজ বেলার দিকে আগরতলায় পা রাখছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ‘খেলা হবে’ দিবস (Khela Hobe Diwas)পালন করতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে যাচ্ছেন তৃণমূলের ৮ সাংসদ, সঙ্গে থাকবেন এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে তিনি ত্রিপুরায় পৌঁছনোর পরই পুলিশের নোটিস ধরানো হতে পারে। কারণ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খোয়াই থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সবমিলিয়ে, তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের এই সফর ঘিরে ফের সরগরম হতে পারে ত্রিপুরা (Tripura)।
[আরও পডুন: মারধর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে জোর, যোগীর রাজ্যে ফের নিগৃহীত মুসলিম ব্যক্তি ]
এ বছরই প্রথম ‘খেলা হবে’ দিবস উদযাপন করছে বাংলার তৃণমূল সরকার। বাংলার পাশাপাশি গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, অসমেও এই দিনটি পালিত হবে। আর সেই কারণেই ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তৃণমূল। আজ বেলার দিকেই আগরতলা পৌঁছবেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার, প্রতিমা মণ্ডল, আবু তাহের খান, আবিররঞ্জন বিশ্বাসরা। ওখানে রয়েছেন সাংসদ শান্তনু সেন এবং মন্ত্রী মলয় ঘটক। তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ধরপাকড় চলছেই। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ত্রিপুরায় রয়েছেন তাঁরা। আগামী ১৬ তারিখ এই পরিস্থিতির মধ্যেই ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল।
[আরও পডুন: Coronavirus: দেশে লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক মৃত্যু, কর্ণাটকে শিশুদের সংক্রমণ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ]
এদিকে, ‘খেলা হবে’র পালটা হিসেবে আজই এ রাজ্যে পালটা কর্মসূচিতে নামছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাস্তায় কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে ‘খেলা’য় শামিল হবেন নেতারা। তবে এ নিয়ে পুলিশের অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়াই এই কর্মসূচি পালন করতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।