সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গুজরাট পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে তাঁকে প্রথমে আটক করে গুজরাট পুলিশের (Gujarat Police)একটি দল। এরপর আজ সকালে সড়কপথ আহমেদাবাদ নিয়ে যাওয়া হয় সাকেত গোখলেকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তহবিলের টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। আজ দুপুরের দিকে আহমেদাবাদ আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূলের (TMC) জাতীয় মুখপাত্রকে। সাকেতের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে তৃণমূলের আইনি পরামর্শদাতারা আহমেদাবাদ রওনা হয়েছেন। উল্লেখ্য, এনিয়ে চলতি মাসে মোট তিনবার তাঁকে গ্রেপ্তার করল গুজরাট পুলিশ। যদিও আগের দু’বার গ্রেপ্তারির ঘটনায় জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন সাকেত।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধের পর দিল্লির চাণক্যপুরীতে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সাকেত গোখলেকে প্রথমে আটক করে আহমেদাবাদের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। অভিযোগ, ক্রাউড ফান্ডিং করে আসলে সেই টাকা তছরূপ করেছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র (National Spokesperson)। এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে গুজরাট পুলিশের একটি সূত্র। আজ তাঁকে আহমেদাবাদের আদালতে পেশ করা হবে। যদিও তাঁর আইনি পরামর্শদাতারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। যে কোনও মূল্যে এবারও সাকেতের জেলযাত্রা বাঁচাতে আহমেদাবাদ গিয়েছেন তাঁরা। আগের দু’বারের মতো এবার জামিন মিলতে পারে।
[আরও পড়ুন: রেশন নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে, কেন্দ্রের তথ্যেই অস্বস্তিতে বিজেপি, সরব তৃণমূল]
মোরবিতে (Morbi) সেতু ভাঙা নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইটের জেরে ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। একটি RTI-এর কপি সম্বলিত টুইট শেয়ার করে সাকেত দাবি করেছিলেন, মোরবির সেতুভঙ্গের পর মোদির গুজরাট সফরে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। কিন্তু এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে গুজরাট পুলিশ। বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল মুখপাত্রকে। কিন্তু আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত। ছাড়া পাওয়ার পর ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় অন্য একটি মামলায়। এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত।
বৃহস্পতিবার সাকেত গোখলে টুইটারে পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৩ সপ্তাহ আগে আমার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাকে যেভাবে জয়পুর থেকে আহমেদাবাদ কোনও ট্রানজিট রিমান্ড ছাড়াই নিয়ে গিয়ে বেআইনি হেফাজতে রাখা হয়েছিল তার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’ এরপর বছরশেষেও ফের গ্রেপ্তার হলেন সাকেত গোখলে।