সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত বছর পর জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল (TMC)। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন তৃণমূল-সহ তিন রাজনৈতিক দলের ‘জাতীয়’ তকমা খারিজ করেছে। আর এই তালিকায় নতুন সংযোজন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। কমিশন সূত্রে খবর, ভবিষ্যতে ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে ফের জাতীয় দলের স্বীকৃতি ফিরে পেতে পারে তৃণমূল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পথে হাঁটতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। সে লড়াইয়ে কী হয়, তা তো ভবিষ্যৎই বলবে। তবে আপাতত জাতীয় দলের তকমা হারিয়ে আর কোন কোন সুযোগ হাতছাড়া হল ঘাসফুল শিবিরের, সেদিকে একবার নজর রাখা যাক।
জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোর ফলে সর্বভারতীয় স্তরে বাংলার শাসকদলে বেশ কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন-
- প্রথমত, দলের নাম হিসেবে ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস’ (All India Trinamool Congress) আর লেখা যাবে না। কারণ, দলটি আর সর্বভারতীয় নয়।
- দ্বিতীয়ত, জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোর ফলে নির্বাচনের সময় ইভিএম কিংবা ব্যালট পেপারে প্রথম সারিতে নাম থাকবে না তৃণমূলের।
- তৃতীয়ত, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ডাকা সর্বদল বৈঠকে আমন্ত্রণ নাও পেতে পারে তৃণমূল।
- চতুর্থত, জাতীয় দলের তকমা খোয়ানোর ফলে তৃণমূলের দলীয় তহবিলেও প্রভাব পড়তে পারে। তবে তা নগণ্য বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
তবে ভবিষ্যতে ফের জাতীয় দলের স্বীকৃতি ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলার শাসকদলের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং তৎপরবর্তী নির্বাচনগুলিতে দলের পারফরম্যান্স দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ‘ন্যাশনাল পার্টি’র হারানো খেতাব ফিরিয়ে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তেমনই জানানো হয়েছে। তার আগে অবশ্য আইনি পথে হেঁটে পরিস্থিতি কতটা নিজেদের অনুকূলে আনতে পারে তৃণমূল, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের।
[আরও পড়ুন: ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হলে আত্মাহুতি দেব, ED-CBI লাগবে না’, ফের সুর চড়ালেন ফিরহাদ]
১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে পৃথক হয়ে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এই মুহূর্তে দলের চেয়ারপার্সন। ২০১১ সালে বাংলার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সাল অর্থাৎ দ্বিতীয়বার বাংলার শাসক পদে বসার পর জাতীয় দলের মুকুট মাথায় উঠেছিল ঘাসফুল শিবিরের। ৭ বছর পর তা হারাতে হল।