সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'মহুয়াগড়' হিসেবে পরিচিত কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে এসে লোকসভায় তৃণমূল (TMC) ও কংগ্রেসের (Congress) আসন সংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর দাবি, গতবার ২০'র গণ্ডি পার করলেও এবার গোটা দেশে ১৫ টি আসনও পাবে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস ও বামেদের প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে তাঁদের আসনগণ্ডিও বেঁধে দিতে দেখা গেল দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
শুক্রবার কৃষ্ণনগরে ভোটপ্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই নির্বাচন দেশের নির্বাচন। দেশের সরকার গড়ার নির্বাচন। ফলে এখানে কাকে সরকারে বসাতে হবে তা আপনাদের ঠিক করতে হবে।" এরপর তৃণমূলকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, "তৃণমূল তো গোটা দেশে ১৫ আসনও জিতবে না। তাহলে আপনারা বলুন ওরা ১৫ আসন নিয়ে সরকার তৈরি করতে পারবে কি?" এরপর এই তালিকায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'কংগ্রেসও গোটা দেশে যত শক্তি দেখাক হাফ সেঞ্চুরি করতে পারবে না। তাহলে ৫০ আসনও যে পাচ্ছে না সে সরকার তৈরি করতে পারবে কি?' এর পর বামেদের নিশানায় নিয়ে বলেন, 'এবার আসুন বাম মোর্চায়, একটা সময় এখানে যাদের সূর্য নিভত না, তাদের আর এখানে দেখা যাচ্ছে না। তাহলে তারা কি সরকার তৈরি করতে পারবে? এই নির্বাচনে এটা স্পষ্ট যে যদি কেউ সরকার তৈরি করতে পারে তবে সেটা বিজেপি ও এনডিএ।"
[আরও পড়ুন: ‘ওদের সব রিপোর্ট সন্দেহজনক’, বিশ্বশান্তি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তোপ ভারতের]
এর পর লোকসভায় সরকার গঠন নিয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ে মোদির গলা থেকে। তিনি বলেন, 'আমরা সরকার গঠন করছি। তবে তর্ক এখন এই জায়গায় পৌঁছেছে যে এনডিএ ৪০০ পার করবে কি না! আমাদের একটা পক্ষ বলছে, ৪০০ থেকে কিছু কম হতে পারে, আর এক পক্ষ বলছে ৪০০ ছাপিয়ে যাবে।' এরপর ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ তুলে মোদির কটাক্ষ, 'অন্যদিকে, 'ইন্ডিয়া' জোটের তর্ক চলছে বিরোধী হিসেবে সবচেয়ে বড় দল কে হবে? এরা এই জন্য নির্বাচন লড়ছে।' জনগণের কাছে মোদি আর্জি জানান, 'মোদির সবচেয়ে বেশি আসন এই জন্য দরকার যাতে দেশের সব সংসদীয় আসনে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়।'
[আরও পড়ুন: ‘দেশের মেয়েরা হেরে গেল’, ব্রিজভূষণের ছেলে টিকিট পাওয়ায় হতাশ সাক্ষী]
এদিনের প্রচারে তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে ফের সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। কড়া সুরে বলেন, 'তোলাবাজদের সরকার তৃণমূল। প্রতিদিন আদালত ওদের স্মরণ করায় ওদের দায়িত্ব কী? কারণ সংবিধান মেনে একটিও কাজ ওরা করে না। সন্দেশখালিতে কী ঘটেছে আপনারা সকলে দেখেছেন। তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই জানতেন সেখানে কী চলছে। ওখানে বিপুল অস্ত্র ও বোমা পাওয়া গিয়েছে। যে সব অস্ত্র ওখানে পাওয়া গিয়েছে তা কি গণতন্ত্র রক্ষার্থে?' পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “অপরাধীর নাম শাহজাহান বলেই কী তাঁকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল?”