ধ্রুবজ্য়োতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য়ের বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই রাজ্যে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-ও আটকে রয়েছে সে কারণে। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য় সরকারি কর্মচারীরা। এর মাঝেই এই দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া। পাওনার দাবিতে আদালতে গিয়েছেন তাঁরা। গত আটদিন ধরে ধরনা দিচ্ছেন তাঁরা। তবু বকেয়া মেটেনি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাওনা কবে মিটবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর মাঝেই মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “সকলের আন্দোলন করার অধিকার আছে। কেন্দ্র রাজ্যের প্রচুর পাওনা বাকি রেখেছে বলেই হচ্ছে। যারা আন্দোলন করছেন তারা এটাও ভাবুক। তাঁরাও কেন্দ্রের কাছেও বলুক।” তবে কোনও আন্দোলনের জন্য যাতে আমজনতার অসুবিধা না হয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আদানি গোষ্ঠীর সংকট পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে, হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা]
গত আটদিন ধরে শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া ৩৫ শতাংশ ডিএ রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে। দাবিপূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে SAT-এর রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ের পরেও মেলেনি ডিএ। এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন ঠিক কী রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা।