ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বীরভূমের দাপুটে নেতাকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, “দুর্নীতি হলে জিরো টলারেন্স নীতি। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, মানুষের কাছে ক্ষতিকর বা মানুষকে কেউ ঠকিয়েছে বলে মনে হলে দল তাঁকে সমর্থন করে না।”
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির পর থেকেই দলের অবস্থান কী হবে, সেদিকেই নজর ছিল সকলের। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই অনুব্রতকে নিয়েও নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল তৃণমূল। এদিন বিকেলে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,” কোনও অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি হলে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে বলে দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, মানুষের কাছে ক্ষতিকর বা মানুষকে কেউ ঠকিয়েছে বলে মনে হলে দল তাঁকে সমর্থন করে না।” চন্দ্রিমা সাফ জানান, দল অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না। মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “মানুষের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল তৈরি হয়েছে। তিনবার মানুষের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছে। মানুষই বড় সম্পদ।”
[আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি’, ৭ দিনের ছুটিতে গেলেন অনুব্রতকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া চিকিৎসক]
তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এক আচরণ করুন। অভিযুক্ত যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা দলের কেউ না হয়, তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগে যাওয়া আর শাসকদলের কেউ হলে সেক্ষেত্রে চুপচাপ বসে থাকা। এটা চলতে পারে না।” শুভেন্দু অধিকারীকে কেন্দ্র জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়নি। চন্দ্রিমা বলেন, “কখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা দলের নেত্রী ঠিক করবেন। কিছু হলে ঠিক জানানো হবে।”