সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা রেঞ্জারকে হুমকির ঘটনায় কড়া অবস্থান তৃণমূলের। আগেই কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করেছিল দল। এবার তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ তৃণমূলের। রবিবার মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে এহেন নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। পাশাপাশি মহিলা আধিকারিকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছে। ফোনে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে একথা জানান দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন। তবে দলের তরফে এধরনের কোনও নির্দেশ পাননি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন অখিল গিরি।
দলীয় মুখপাত্র শান্তনু সেনের কথায়, "অখিল গিরি মহিলা বন আধিকারিকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে তৃণমূল দলের তরফে জানানো হয়েছে, সেই আচরণকে সমর্থন করে না। আজ দলের নির্দেশে দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোনে তাঁর কথা বলে মহিলা আধিকারিকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন। এবং দলের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিতে বলেছেন।" তৃণমূল মুখপাত্রের সংযোজন, "এরকম রাজধর্ম একমাত্র তৃণমূলই পালন করে। ভারতীয় জনতা পার্টি এই পদক্ষেপের কথা ভাবতেও পারবে না।" উল্লেখ্য, দলের কোনও পদে নেই অখিল। তবে মন্ত্রিসভার সদস্য তিনি। ফলে মন্ত্রিত্বই তাঁকে ছাড়তে হবে।
[আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র সংস্থায় এক বছরে সাড়ে ৬ কোটি নগদ জমা! বিপুল টাকার উৎস কী? তদন্তে ED]
বিষয়টি নিয়ে কারামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, "দলের তরফে এরকম কোনও ফোন পাইনি। কোনও নির্দেশ পাইনি। সুব্রত বক্সি দলের রাজ্য সভাপতি। দল কোনও নির্দেশ দিলে পালন করব।"
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরে সমুদ্রসৈকত তাজপুরে বনদপ্তরের জমিতে বেআইনিভাবে বহু হকার দীর্ঘদিন ধরে বসে রয়েছে। এই সমস্ত হকারদের জন্যই একদিকে যেমন পরিবেশ ও সৈকতভূমির ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই পর্যটকরা সমুদ্র উপকূলকে উপভোগ করতে পারছেন না। মাসখানেক আগে নবান্নে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের সর্বত্র সরকারি জমিতে থাকা বেআইনি দখলদারদের সরিয়ে দিতে হবে। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে মাথায় রেখে এদিন সমুদ্র উপকূলে বনদপ্তরের জমি থেকে হকারদের জবরদখল সরিয়ে নিতে বলেন কাঁথির রেঞ্জ অফিসার মনীষা শ। খবর পেয়ে জেলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরি হকারদের সমর্থনে পৌঁছে ওই মহিলা ফরেস্ট অফিসারের উদ্দেশে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।