বিক্রম রায়, কোচবিহার: একটানা তিনদিন কোচবিহারে থেকে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশীথ গড় দিনহাটায় তার একের পর এক কর্মসূচিতে উপচে পড়েছিল ভিড়। তাতে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাওয়ার পর দলের কর্মী সমর্থকদের সক্রিয় করতে কোচবিহার জেলাজুড়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
গোসানিমাড়িতে কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যকে যোগদান করার পর বুধবার রাতে নিজের বাড়ির অদূরে একটি পথসভার মধ্য দিয়ে ভেটাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রতন বর্মন-সহ তিনজন পঞ্চায়েত সদস্যকে ফের তিনি বিজেপিতে যোগদান করালেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রুয়ের কুঠি এলাকায় গিয়েও তিনি বেশ কয়েকটি পরিবারকে বিজেপিতে যোগদান করানোর দাবি করেন। তবে এই ঘটনার পর রীতিমতো নিশীথকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুক্রবার ‘ভেটাগুড়ি চলো’ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। স্বাভাবিকভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা এখনও না বাজলেও ভেটাগুড়ির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের একবার উত্তপ্ত।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা নাকি খুন? সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্কুলছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে বর্ধমানে চাঞ্চল্য]
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, ভেটাগুড়িতে মহাযোগদান কর্মসূচি ও পথসভাতে বিজেপিতে ফের ভেটাগুড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রতন বর্মন ও আরও অনেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। রুইয়ের কুঠি এলাকাতেও যোগদান অনুষ্ঠান সেখানে বহু পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তবে যোগ্য এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের দলে নেওয়া হবে। যোগদান পর্বে নিশীথের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বোকা বোকা কথা বলছে৷ অভিষেকের সভায় ঢল নামছে৷ আর বিজেপির কোনও নেতাকে দেখে চারটে লোক পেছনে হাঁটবে না৷ আসলে এগুলো সব জ্বলনের সাইড এফেক্ট৷’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ‘ভেটাগুড়ি চলো’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, “ভেটাগুড়িতে গিয়ে তিনি রতনের খোঁজ করবেন। তার জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যদিও সেটা কোন রতন তার উত্তর সেখানেই মিলবে।” তবে ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ জন সদস্যের মধ্যে প্রধান-সহ আরও তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য দলবদলের ফলে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। দলবদলের পর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রতন বর্মন বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছে তো তার রয়েছে। তৃণমূলে সেটা করতে পারছিলেন না বলেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন।”