রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে এক কন্ট্রাক্টরকে! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে সরব দলেরই একাংশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের পঁচেটের। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত। এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
পঁচেটের তৃণমূল (TMC) নেতাদের একাংশের কথায়, দলকে না জানিয়েই পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন দলেরই নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ভোটের আগে দলীয় কার্যালয় ভাড়া দেওয়ায় সাংগঠনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ তাঁদের। মিটিং-গোপন বৈঠক কিছুই করতে পারছেন না জানিয়েছেন পঁচেটের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নীলমাধব দাস অধিকারী।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, বিজেপিতে যোগ দিলেন উঃ ২৪ পরগনার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা রতন ঘোষ]
যদিও পটাশপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি অর্থাৎ অভিযুক্ত চন্দন সাউয়ের কথায়, তিনি ভাড়া দেননি কার্যালয়। যাতে রাস্তার কাজ তাড়াতাড়ি হয়, সেজন্য কন্ডাক্টরের জিনিসপত্র ও লোকজন থাকার জন্য বিনামূল্যে অফিসটি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পার্টি অফিসের সামনে ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তাই কাজের জিনিসপত্র রাখতে সুবিধা হবে। এর জন্য কোনও মিটিং, মিছিল আটকে নেই বলেই দাবি তাঁর।
এনিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “এখন তো আমফান-কাটমানি এসবের টাকা মারা বন্ধ। ইনকাম বন্ধ। পারলে তো ওঁরা কালীঘাটের টালির চালও ভাড়া দেয়।” পঞ্চায়েতের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে গত মাসেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পটাশপুর। এবার পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়া নিয়ে ফের শাসকদলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে।