সন্দীপ চক্রবর্তী: তৃণমূল-বিজেপির লড়াইয়ের হটস্পট এখন ত্রিপুরা (Tripura)। উত্তর পূর্বের বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। আর ঠিক সেই সময় দলের ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের ‘আটকে’ রাখার অভিযোগ উঠেছে। আর সে রাজ্যের সরকারের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার দিকে নজর রাখতে তিন সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল।
দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিপুরায় আমাদের ছেলেদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।” ইতিপূর্বে টুইটারে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার সকালেই আগরতলার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা দলের তিন নেতা ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আইপ্যাকের কর্মীদের মুক্ত করার পাশাপাশি দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। কথা হতে পারে তৃণমূলের স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও। বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: Modi-Mamata Meet: আরও বেশি টিকার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, সরব রাজ্যের নাম বদল ইস্যুতেও]
গত এক সপ্তাহ ধরে আগরতলা-সহ গোটা রাজ্যে আইপ্যাকের টিম তৃণমূলের হয়ে জনমত সমীক্ষা চালাচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদের পরিচয় জানতে রবিবার রাত একটা থেকে হোটেলে আটক করে রাখা হয়েছে। পরিচয় জানার নামে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও ত্রিপুরার পুলিশের দাবি, অতিমারীর সময় রাজ্যের হোটেলে বহিরাগতরা থাকছিলেন। তাঁরা কোভিডবিধি ভাঙছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ওঁদের।
যদিও সে কথা মানতে নারাজ তৃণমূল। ত্রিপুরার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং জানান, “রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের নামে পিকের টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কুঠারাঘাত। একজন ত্রিপুরাবাসী হিসেবে আমি লজ্জিত।” এর পরই এদিন রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। তার পরই সে রাজ্যে তিন সদস্যের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।