ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৌতম ব্রহ্ম: ২ বছর পর ফের শহিদ দিবসে ধর্মতলায় জমায়েত করবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেখানে থাকছে নয়া চমক। এবছর নেতা-মন্ত্রী-ভলান্টিয়ারদের জন্য থাকছে বিশেষ ড্রেস কোড। মঙ্গলবার রাতেই বেশ কয়েকজনের হাতে সেই পোশাক তুলে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
কী সেই ড্রেস কোড? জানা গিয়েছে, আগামিকাল তৃণমূলের পুরুষ কর্মীদের দেখা যাবে ঘিয়ে রঙের খাদির পাঞ্জাবিতে। বুকে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক। মহিলা কর্মীদের জন্য তৈরি হয়েছে একই রঙের খাদির ওড়না। নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করাও ওই পোশাকেই আগামিকাল যোগ দেবেন শহিদ সমাবেশে। শুধু তাই নয়, স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ টি-শার্ট। এদিকে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরসারি ধন্যবাদ জানাতে একুশে জুলাইয়ের সভায় হাজির হচ্ছেন দেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলের আদিবাসী শিল্পীরা। শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা করে পোশাক তৈরি করেছেন তাঁরাও।
[আরও পড়ুন: বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে উদ্ধার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের গ্রেনেডের খোল! চাঞ্চল্য এলাকায়]
উল্লেখ্য, এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প হতে চলেছে দেউচা পাঁচামি। মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণার পর জমি দিতে রাজি হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার জমিদাতা। তাঁদের মধ্যে ২৬০ জনকে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের পর তাঁরা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি করবেন। প্রস্তাবিত দেউচা-পাঁচামির কয়লা প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৬০০ জন জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
সম্প্রতি সিউড়িতে জেলা পরিষদের তরফে অনুষ্ঠান করে চাকরির নিয়োগপত্র ও ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়। সেখানে ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, জেলাশাসক বিধান রায়। আশ্বাসপূরণের কর্মযজ্ঞ যত তীব্র, ততই দুর্বল হয়েছে প্রকৃতি বঁাচাও মহাসভার কয়লা প্রকল্প বিরোধী আন্দোলন।