সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস’। ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই সরব শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার দাবি, জাতীয় দলের তকমা পেতে হলে যে যে শর্ত মানতে হয়, তার কোনওটিই পালন করতে পারেনি এরাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যেই এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, জাতীয় দলের (National Party) তকমা ধরে রাখার শর্ত পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল। এটা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল। তাই এদের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক। জাতীয় দল হতে গেলে যে শর্তগুলি পূরণ করতে হয় সেগুলিও উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে দেশের মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ পেতে হয় ৩ রাজ্য থেকে। কিন্তু তৃণমূলের বাংলার বাইরে কোনও লোকসভা সাংসদ নেই।
[আরও পড়ুন: আরও তিনটি মামলায় জামিন পেলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, তবে এখনই জেলমুক্তি নয়]
শুভেন্দুর দাবি অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা রাজ্য থেকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। যেটা তৃণমূল পায়নি। জাতীয় দল হওয়ার আরেকটা উপায় আছে। সেটা হল চারটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পাওয়া। সেটার জন্যও অন্তত চার রাজ্যে ন্যূনতম ২ জন করে বিধায়ক বা ৬ শতাংশ ভোট পেতে হয়। সেটাও নেই তৃণমূলের (TMC)। উদাহরণ হিসাবে গোয়া, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় তৃণমূলের ফলাফল তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইঞ্জিন ভ্যানে ধাক্কা বাইকের, মৃত্যু মাদ্রাসা পড়ুয়ার]
যদিও শুভেন্দুর এই অভিযোগকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলছেন, বড় বড় কথা বলাটা শুভেন্দুর স্বভাব। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বাংলার মাটিতে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে তৃণমূল। সেই সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমেও আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠবে ঘাসফুল শিবির।