রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বহু কর্মী-সমর্থক ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) শিকার হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির (BJP)। তা সত্ত্বেও তাঁরা সুবিচার পাননি বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবির। তারই প্রতিবাদে বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ অবস্থান করেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর ধর্মতলা মোড়ে পথে নেমে ‘শহিদ নিধি’ অর্থ সংগ্রহ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে শহিদ স্মরণে রানি রাসমণিতে অনশন অবস্থানে বসে বিজেপি নেতৃত্ব। একই সারিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায়কেও। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী হয়। ওই মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার প্রশ্নও তোলে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরও তিনজনকে নতুন জীবন, অঙ্গদানে নজির শহরের চিকিৎসকের]
দিনকয়েক ধরে ‘বিদ্রোহী’দের নিয়ে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সদ্যই পাটশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরব হওয়ায় সেই তালিকায় নাম জুড়েছে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। এদিনের বিক্ষোভ অবস্থানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে একই সারিতে দেখা গিয়েছে। তবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে চাননি অর্জুন সিং। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বরফ গলল? যদিও অর্জুন সিং এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এদিকে, বিজেপির অর্থ সংগ্রহকে ‘লোকদেখানো’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, “ভারতের ধনীতম দল ভারতীয় জনতা পার্টি। গত বছর পর্যন্ত যা যা হিসেব এসেছে, তাতে কোটি কোটি টাকা আয় বিজেপির। যাদের দিল্লিতে সেভেন স্টার পার্টি অফিস। অনুদানের বৈধ তালিকায় সব দলের থেকে এগিয়ে। সেই পার্টির এটা করা উচিত নয়। কৌটোর পাশে তোয়ালে আছে কিনা তা দেখতে হবে।”