ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একশো দিনের প্রকল্পে বঞ্চিত বাংলা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের (TMC) অভিযোগে অবশেষে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই প্রাপ্য অর্থের দাবিতে সুর আরও চড়াল তৃণমূল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্য দাবি করেছেন, ১০০ দিনের কাজে ১৮ হাজার কোটি টাকা পায়নি রাজ্য। কেন্দ্র এই টাকা দিক।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমার অভিযোগ, “বাংলার উপর কীভাবে আঘাত আনা যায় তার নানা উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন্দ্র। বিমাতৃসুলভ আচরণ চলছে। ‘২২ সালের যে টাকা পাওয়ার সেটা মেলেনি। ৭ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে যারা কাজ যারা করেছে তাদের প্রাপ্য ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সেটা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্র কি চায় গরিব মানুষ বিনা পয়সায় কাজ করবে?”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া, কলকাতায় দুর্গাপুজোর মহামিছিলে যোগ দেবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিও]
কোন খাতে কত টাকা প্রাপ্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তারপরেও সেই অর্থ পায়নি রাজ্য। এবিষয়ে চন্দ্রিমার অভিযোগ, “অবান্তর কথা বলে টাকা দিচ্ছে না। বলছে নাম পালটে দিয়েছে। আমরা তো ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নাম বদলাইনি। তাই টাকা মারবে বলে এটা করছে।”
রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের দাবি, “এর (বঞ্চনা) পিছনে রাজ্যের কিছু বিজেপি নেতার উসকানি রয়েছে। বাংলা ছাড়া অন্য রাজ্যগুলিতে ভূরি ভূরি টাকা দিয়েছে। আমাদের একটা টাকাও দেয়নি। আর্থিক ব্লক তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে।” সাংসদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ যোজনার টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ৬২০০ কিলোমিটার রাস্তা করার কথা। কিন্তু তার বরাদ্দও আসেনি। এরপরই সুখেন্দুবাবুর প্রশ্ন, “গ্রামীণ আবাস যোজনার নাম বদলানো হয়েছে। তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে?” তিনি আরও বলেন, “সংবিধানের নির্দেশ অমান্য করে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। বিজেপি ষড়যন্ত্র করে গরিব মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। সব রাজ্য পেল কিন্তু বাংলা পেল না। বাংলা কি ভারতে বাইরে?”