ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘কলকাতায় নেই রাজ্য়পাল (WB Governor)। দেখা করতে চাইলে উত্তরবঙ্গে আসুন।’ রাজভবনের ‘জমিদারি’ প্রস্তাবের পালটা তোপ দাগল তৃণমূল। রাজ্য়পালের এই প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। জানিয়েছেন, সি ভি আনন্দ বোসের (C V Anand Bose) এই প্রস্তাব জমিদারি সংস্কৃতির প্রতীক। এর বিরুদ্ধেই লড়াই করছে তৃণমূল।
১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং রাজ্যের প্রাপ্য় টাকা আটকে রাখার প্রতিবাদে দিল্লিতে সত্যাগ্রহ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সময় দিয়েও তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। উলটে হেনস্তা হয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি ও ‘বঞ্চিত’রা। এর পরই কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য়পালের বাসভবনের সামনে লাগাতার ধরনা কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল। উদ্দেশ্য়, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা। বঞ্চনা নিয়ে তাঁকে পদক্ষেপ করতে আর্জি জানানো। কিন্তু রাজভবনেই নেই রাজ্য়পাল। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরের জেলায়-জেলায় ঘুরছেন সি ভি আনন্দ বোস। সেখানেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘কোনও মন্ত্রীরও আসা উচিত ছিল’, বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে গিয়ে ‘পর্যটক’ খোঁচার জবাব রাজ্যপালের]
রাজ্যপালের সময় চেয়ে চিঠি লিখেছিল তৃণমূল। জবাবে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজভবনে নেই রাজ্যপাল। তবে চাইলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল উত্তরবঙ্গের সার্কিট হাউস বা ত্রাণ শিবিরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই পারে। রাজভবনের তরফে এমন প্রস্তাবকে ‘জমিদারি সংস্কৃতি’ বলে তোপ দেগে ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, রাজ্যপালের ফেরার অপেক্ষা করবেন তাঁরা।
চিঠিতে ডেরেক লিখেছেন, “তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব অবাস্তব এবং দুর্ভাগ্য়জনক। এই ধরনের জমিদারি সংস্কৃতি আমরা মানি না। এর বিরুদ্ধেই আমরা লড়াই করছি।” সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যপালের কলকাতায় ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।