সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে (Prayagraj) একই পরিবারের পাঁচজনের খুনের (Murder) ঘটনায় চাঞ্চল্য দেশ জুড়ে। এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ ও দু’বছরের নাতনিকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সমালোচনায় মুখর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃণমূলের উত্তরপ্রদেশ শাখার তরফে টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী, তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী ও রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজাও সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার এই নারকীয় হত্যার বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলেই কাঠগড়ায় তুলেছেন যোগী সরকারকে।
উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইটারে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ”যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে ব্যর্থ। বহু দিন ধরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রুক্ষেপ নেই। এটাই কি মানুষ চেয়েছিল? ভয়ংকর!” সেই টুইটটি শেয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী লিখেছেন, ”এটা লজ্জার বিষয় যে যোগী আদিত্যনাথ সব দিক থেকেই সেখানকার মানুষের কাছে ব্যর্থ। সে আইন শৃঙ্খলা হোক কিংবা স্বাস্থ্য।”
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসে যোগ দিতে এই শর্ত দেওয়া হল প্রশান্ত কিশোরকে, পালটা কী দাবি ভোটকুশলীর?]
এদিকে শশী পাঁজা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ”উত্তরপ্রদেশে অনাচার একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। এটা পরিষ্কার, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের এটা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই। নারী হোক বা শিশু, উত্তরপ্রদেশে যোগীর রাজত্বে সকলেই অসুরক্ষিত।” পাশাপাশি টলিউড অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক সোহমও ক্ষোভ উগরে টুইটারে লিখেছেন, ”যোগী আদিত্যনাথজি, আবারও আপনি মানুষের কাছে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হলেন।”
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ”আমরা যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিচার চাই।” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও বিচার চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব এবার চুপ কেন? অপরাধ তো অপরাধই। তাঁরা অন্য সময় এত কথা বলেন, কিন্তু এবার তাঁদের মুখে কোনও কথা নেই কেন?”
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারই পাঁচ সদস্যের সত্য অনুসন্ধানকারী দল পাঠানো হবে উত্তরপ্রদেশে। প্রতিনিধিদের তালিকায় রয়েছেন দোলা সেন, মমতাবালা ঠাকুর, সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও ললিতেশ ত্রিপাঠী।
উল্লেখ্য, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পিছনে কোন কারণ লুকিয়ে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর আগে প্রয়াগরাজেরই খাগলপুর গ্রামে একই পরিবারে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। ঠিক তার সাতদিন পরই খেবরাজপুরে আবার একই পরিবারের পাঁচজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে সন্দেহ দানা বেঁধেছে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের মনে। এই দুই ঘটনার কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে? এমন প্রশ্ন উঠছে যোগীরাজ্যে।