ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: উন্নয়ন তথা স্বচ্ছ রাজনৈতিক বিষয়ে কিছু বলার নেই। তাই বিজেপি নেতারা চরিত্রহননের চেষ্টা করছেন। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা নিয়ে এবার বিজেপি নেতাদের পালটা দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। চ্যালেঞ্জ করলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের নাম নিয়ে দেখান।’
বিজেপি নেতারা বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব। তাঁদের মূল নিশানায় থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যদিও ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে আক্রমণের সময় তাঁর নাম না নিয়ে ‘ভাইপো’ শব্দটি প্রয়োগ করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে গেরুয়া শিবির। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রবণতাকে ‘চরিত্র হননে’র চেষ্টা বলে দেগে দিলেন কুণাল ঘোষ। বললেন,”আমাদের প্রিয় নেতার চরিত্র হনন করে যাচ্ছেন অথচ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের পাশে বসালেই তারা ধুয়ে যাচ্ছে, এটা কি ওয়াশিং মেশিন নাকি। বিজেপির (BJP) তৃণমূল সম্পর্কে বলার কিছু নেই। কারণ এখানে কাজ হয়েছে। এখানে ১০০% মানুষের জন্য কাজ হয়েছে। এই সরকার খোঁজার চেষ্টা করছে কাদের জন্য উন্নয়ন দরকার। আমরা কুৎসা পছন্দ করি না। অনেক কিছুই আছে যেগুলো আমরা তুলে ধরতে পারি, কিন্তু ব্যক্তি কুৎসা আমরা পছন্দ করি না। যদি ক্ষমতা থাকে, যদি হিম্মত থাকে, ভাইপো ভাইপো না করে নাম উচ্চারণ করে দেখান কৈলাসজি। নাম নিতে কীসের এত ভয়? আমরা তো নাম করে বলছি।”
[আরও পড়ুন: পাখির চোখ একুশ, এবার ভোট প্রচারে শিক্ষকদের ১২ হাজার দল মাঠে নামাচ্ছে তৃণমূল]
কুণালের দাবি, গতকাল কৈলাস বিজয়বর্গীয় রামনগরের সভায় মিথ্যে ভাষণ দিয়েছেন। রাজনীতিতে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতার কথায়, “এখানকার শিক্ষিত একজন যুবনেতাকে টার্গেট করা হচ্ছে। উনি ভাল কাজ করছেন। দু’বারের সাংসদ। ওঁর কেন্দ্রের মানুষ ওঁকে ভালবাসেন। তাই ওঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে। ঠিক যেভাবে বোফোর্স মামলায় রাজীব গান্ধীর চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ হয়ে যায় সব ভুল, সব মিথ্যে।” কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, পরিবারতন্ত্রের ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত বিজেপিতেও আছে। এ প্রসঙ্গে খোদ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় উদাহরণ টেনে আনেন তিনি। অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রদেশে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুরকর্মীকে মেরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আকাশ। অথচ, কৈলাস বাংলায় এসে আমাদের প্রিয় নেতার চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন।
[আরও পড়ুন: ফের জট! মমতার বিকল্প মুখ জোটের অধীর? কংগ্রেসের জল্পনায় জল ঢালল CPM]
কুণালের বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন, ‘কে দিদি, কে ভাইপো, সকলেই জানে। তাই আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। আর সময় হলে নামও বলে দেওয়া হবে। বিজেপি কাউকে ভয় পায় না।’