ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার রাজনৈতিকত বৃত্তে দিনভর আলোচনার কেন্দ্রে মুকুল রায় (Mukul Roy) ‘অন্তর্ধান রহস্য’। সোমবার সন্ধে থেকে যার সূচনা। মঙ্গলবারও তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhrangshu Roy)। তিনি সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘রাজনীতি’, ‘বড় টাকার খেলা’ বলে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। মুকুল রায়কে নিয়ে অবশ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তেমন কিছু বলতে চাইলে না। শুধু বললেন, ”এটা অনেকটা উচ্চমার্গের ব্যাপার। কে জড়িত আছে, শুভ্রাংশু যা বলছে, তার উপর তদন্ত দরকার। যে এমনিতেই নিখোঁজ ছিলেন, আবার নতুন করে নিখোঁজ সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই।”
এদিন শুভ্রাংশু বাবাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে (TMC) বদনামের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। তা নিয়ে আপত্তি শোনা গেল কুণাল ঘোষের গলায়। বললেন, ”শুভ্রাংশু যা বলেছে তাতে অভিষেককে জড়িয়ে দেওয়া ঠিক না। সব ব্যাপারে অভিষেককে ডেকে এনে ঢাল করা ঠিক না। আগে তো বলতে পারতেন যে সিবিআই অভিষেককে নিয়ে যা করছে, সেটা অন্যায়। বলেননি তো। আর মুকুলবাবু তো কিছু বলেননি অভিষেকের কথা। এখন ওঁর ছেলে কেন বলছেন?”
[আরও পড়ুন: AI ব্যবহারের ফল, এবার পর্ন ছবিতে দেখা যেতে পারে আপনার মুখও! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের]
বাবাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন শুভ্রাংশু আগেই বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে স্থানীয় এক বিজেপি (BJP) নেতা পীযূষ কানোড়িয়াকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। তা নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ”পুলিশ তো তদন্ত করবেই। না করলে তো আবার বলবে তদন্ত করছে না। মুকুল রায় বিভিন্ন স্তরের মায়াবী শিল্পের তারকা।” মুকুল রায় ২০২১এ বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু তাঁর দলবদল নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তিনি ঠিক কোন দলের, তা নিয়ে আলোচনাও হয়। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”বিজেপিতে আছেন কি নেই, সেটা নিয়ে স্পিকারের একটা পর্যবেক্ষণ আছে। একটা জগাখিচুড়ি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমার কিছু বলার নেই।”
[আরও পড়ুন: আতিকের পর হিটলিস্টে আরও ৬১ গ্যাংস্টার! যোগীর নির্দেশের অপেক্ষায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ]
এদিকে মুকুল রায়কে নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। খড়গপুরে চায়ের আড্ডায় তাঁকে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বলেন, ”উনি তো অনেকদিন ধরেই নিখোঁজ। নতুন কী? উনি তো একজন বিধায়ক। ৬ মাস ধরে ওঁকে দেখেছেন কোথাও? উনি লস্ট কেস। কেউ আর ওঁকে নিয়ে ভাবে না।”