ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরের জের। গুসকরার দুঃস্থ পরিবারের কলেজছাত্র বিশাল সাউয়ের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসসিপি)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি সৌম্যদীপ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিশালের বাড়িতে দেখা করতে যায়। আশ্বাস দেয় সাহায্যের।
গুসকরা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বিশাল সাউ। তাঁদের বাড়ি লাগোয়া একটি চায়ের দোকান রয়েছে। বাবা উত্তম সাউ ও মা সুনীতাদেবী দু’জনে দোকানটি চালান। এক অবিবাহিতা দিদি রয়েছেন বাড়িতে। তীব্র অভাবের মধ্যে পড়ে পড়াশোনার খরচ জোগাতে টোটো চালান বিশাল। অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন গুসকরা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা এই তরুণ। তাঁর জীবন সংগ্রামের কথা সর্বপ্রথম ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত হয়।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই ফের জেলা সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকের সম্ভাবনা]
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খবর প্রকাশের পরেই রবিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি সৌম্যদীপ, ছাত্র সংগঠনের নেতা ইজাজ হোসেন, শেখ শের আলি-সহ কয়েকজন বিশালদের বাড়িতে যান। তাঁরা বিশালের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সব শুনে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সৌম্যদীপ বলেন, “অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিশাল যেভাবে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা একটা দৃষ্টান্ত। আমরা বিশালের পাশে আছি। ওর পড়াশোনার খরচ, টিউশন ফি আমরা বহন করব। বিশাল যতদূর পড়াশোনা করতে চাইবে আমরা পাশে থাকব।”
বিশালের মা সুনীতাদেবী বলেন, “আমার ছেলের পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য নেই। এই অবস্থায় ওঁরা আমার ছেলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।” এদিন সৌম্যদীপ বলেন, “আমরা আগে বিশালের বিষয়ে জানতে পারিনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমরা চাঁদা তুলেও ছোট ভাইটার পড়াশোনার খরচ জোগাব।”