স্টাফ রিপোর্টার: জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল (TMC)। উনিশের লোকসভা ভোটের আগে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। যেখানে রাজ্যবাসীর সমস্ত অভাব-অভিযোগ পৌঁছে যেত তাঁদের ‘দিদি’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে। সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চালু করেছিলেন ‘এক ডাকে অভিষেক‘। ফোনেই নিজেদের সমস্যার কথা জানানো যাবে সাংসদকে। এবার এই ধাঁচেই জনসংযোগ মজবুত করতে মাঠে নামলেন তৃণমূলের আরও দুই বিধায়ক। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার চালু করলেন ‘বিধায়ককে বলো’। অন্যদিকে, উত্তর শহরতলি রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অদিতি মুন্সিও চালু করছেন ‘আমার কথা বিধায়কের কাছে’।
সাধারণ মানুষের কাছে আরও নিবিড়ভাবে পরিষেবা ও মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি প্রকল্প পৌঁছনোর টার্গেট নিয়ে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে চালু হচ্ছে ‘বিধায়ককে বলো’। নয়া পরিষেবায় নাগরিকরা নিজের বিধায়ককে নিজেই যাবতীয় অভিযোগ, সমস্যা বা চাহিদা জানাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্যও পেয়ে যাবেন অভিযোগকারী। শনিবার একথা জানিয়েছেন বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার।
[আরও পড়ুন: সামান্য নিম্নমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু তিনজনের]
বিধানসভার আগে রাসবিহারীতে নাগরিকদের বক্তব্য ও পরামর্শ জানতে ‘ড্রপ বক্স’ চালু করেছিলেন দেবাশিস কুমার। এবার উন্নত প্রযুক্তির বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে ‘QR’ কোড দিয়ে কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডেই চালু করছেন ‘বিধায়ককে বলো’। কোড ব্যবহার করে দিন—রাতের যে কোনও সময় বিধায়ককে সরাসরি অভিযোগ বা চাহিদা জানাতে পারবেন। সব ওয়ার্ডে একদিন করে জনতার মুখোমুখি বিধায়ক। ফের সব ওয়ার্ডেই ২/৩টি বুথ পিছু ‘ড্রপ বক্স’ চালু হচ্ছে।
সংগীতশিল্পী বিধায়ক অদিতি মুন্সিও চালু করছেন, ‘আমার কথা বিধায়কের কাছে’ শীর্ষক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হেল্পলাইন। নির্দিষ্ট নম্বরে অভিযোগ বা সমস্যা জানালেই সঙ্গে সঙ্গে অদিতির অফিস থেকে ফোন যাচ্ছে ওই বাসিন্দার কাছে। ব্যবস্থা নিচ্ছেন বিধায়ক। তৃণমূলের দাবি, “হাতে একটা স্মার্ট ফোন থাকলেই ‘আপনার বিধায়ক আপনার কাছে’, মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা যাবতীয় সরকারি পরিষেবাও হাতের মুঠোয়। ৬২৮৯৮৯৬৬৫৮ এই নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করলেই বাসিন্দারা কথা বলতে পারবেন বিধায়কের সঙ্গে। মিটবে তাঁদের সমস্যাও।
[আরও পড়ুন: ‘নূপুর শর্মাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মৌখিক, ওটা রায় নয়’, সাফাই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর]
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “একদিকে ২১ জুলাইকে সামনে রেখে সাবেকি দেওয়াল লিখন ফিরে আসছে। অন্যদিকে সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা ও প্রকল্প নিয়ে পৌঁছচ্ছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা।” ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্যান্য তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা এই পথে হাঁটবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।