স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভের ঘটনায় ১১ জন আইনজীবীর সঙ্গে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষেরও (Kunal Ghosh) নাম জড়িয়ে এবার অভিযোগ আনা হল আদালতে। তাপস মাইতি নামে এক আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ১২ জনের নামের তালিকা মঙ্গলবার হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রধান বিচারপতির গঠন করা তিন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চে জমা দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ জানুয়ারি মান্থার (Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কট ও বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় কুণাল ঘোষ আদৌ উপস্থিত ছিলেন না। তবে বিচারপতি টিএস শিভাগনম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ওই বৃহত্তর বেঞ্চ এদিন ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি কোনও ব্যবস্থা নিতে চায়নি। জানানো হয়, ‘‘আমরা এই তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে অবমাননার রুল জারি করছি না। সবটাই প্রমাণসাপেক্ষ। এই আদালত চায় না এক জনের নামও ভুল করে আসুক, যিনি আন্দোলনে ছিলেন না।’’
[আরও পড়ুন: ‘বাকি আর ৪০০ দিন, ভোটারদের কাছে পৌঁছতে হবে’, লোকসভার দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদি]
আইনজীবী তাপস মাইতি অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের নামও কার্যত বিনা কারণে অভিযুক্তের তালিকায় তোলায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই প্রসঙ্গে কুণালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যার ইচ্ছা নাম দিক, আইনের পথে বুঝে নেব।’’ এদিকে বৃহত্তর ওই বেঞ্চের নির্দেশ, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট এবং তাঁর এজলাস ও বাড়ির সামনে পোস্টার মারার জেরে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননার মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোথাও এই নিয়ে সভা বা মিছিল করা যাবে না। পোস্টারও মারা চলবে না।
কোর্ট চত্বরে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই বিধিনিষেধ লাগু করার দায়িত্ব দিয়েছে আদালত। পোস্টার বিতর্কের ঘটনায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও তলব করেছে তিন বিচারপতির ওই বৃহত্তর বেঞ্চ। পোস্টার ছাপানোর বরাত কে দিয়েছিল, কোন ‘প্রিন্টিং প্রেস’-কে ছাপানোর বরাত দেওয়া হয়েছিল এবং পোস্টার লাগানোর দায়িত্বে কে বা কারা ছিলেন, আদালতে জানাতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। এভাবে এজলাস বয়কট করে বিক্ষোভ দেখানো, বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার দেওয়া কার্যত নজিরবিহীন বলেই তিন বিচারপতি পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন।