ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সোমবারই তৃণমূলের রাজ্য মহিলা কমিটি এবং বিভিন্ন জেলা সভানেত্রীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। কিন্তু ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই কমিটির কাজকর্ম স্থগিত করে দেওয়া হল। তৃণমূলের সূত্রের খবর, আপাতত কাজ চালাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া অ্যাড-হক কমিটিই।
সোমবার চন্দ্রিমার ঘোষিত কমিটিতে মোট ১২ জনকে সহ-সভাপতি করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয় ১৪ জনকে। সম্পাদক পদে রাখা হয় ১২ জনকে। মোট ৪৪ জনের রাজ্য কমিটির পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার সভানেত্রীদেরও নাম ঘোষণা করে দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্য কমিটিতে হেভিওয়েটদের মধ্যে নাম ছিল বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, দুই প্রাক্তন বিধায়ক মালা সাহা ও স্মিতা বকসিদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় ওই রাজ্য কমিটির।
[আরও পড়ুন: ৩ দিনে সোনিয়ার সঙ্গে দু’বার বৈঠক, কংগ্রেসকে কী পরামর্শ দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর?]
ঠিক ছিল আগামী সপ্তাহেই তৃণমূলের নতুন এই মহিলা কমিটির মিটিং (TMC Women Wing) ডাকা হবে। তারপরই বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে তাঁরা মাঠে নামবেন। তারপরই রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জেলা সফরে বেরোবেন বলেও ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই নতুন কমিটির কাজকর্ম স্থগিত করে দেওয়া হল। আচমকা এই সিদ্ধান্তে দলের অন্দরেই বিভ্রান্তির জায়গা তৈরি হতে পারে। যদিও এর নেপথ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অঙ্ক নেই বলেই তৃণমূল সূত্রের দাবি।
[আরও পড়ুন: ‘৪ সন্তানের জন্ম দিন, দু’জনকে তুলে দিন আরএসএসের হাতে’, হিন্দু দম্পতিদের আজব নিদান সাধ্বীর]
শাসকদলের একটি সূত্র বলছে, আগামী ৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে ‘দিদিকে বলো’র (Didi Ke Bolo) দ্বিতীয় পর্যায়ের জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। যার কাজকর্ম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই উপলক্ষে আগের কমিটি বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি ঠিক করে ফেলেছে। হাতে সময় যেহেতু বেশি নেই, তাই এই কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরনো কমিটিকেই কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে খবর। এই কর্মসূচি শেষ হলেই নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।