ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একসঙ্গে মেঘালয়ের (Meghalaya) ১২ কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে (TMC)। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে এঁরা সকলে কলকাতায় এসে দেখা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে। এবার তাঁদের মধ্যে থেকেই একজনকে মেঘালয়ের তৃণমূলের সভাপতি পদের দায়িত্ব দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সোমবার রাতে টুইটে এই ঘোষণা করেছে দল। দায়িত্ব পেয়েছেন চার্লস পিংরোপ (Charles Pyngrope)। দ্রুতই তাঁকে নিজের কাজ বুঝে নিতে বলেছেন মমতা। এদিন মুম্বই উড়ে যাওয়ার আগেই গুরুত্বপূ্র্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
গত ২৫ তারিখ সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক। রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। আর তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলের ত1কমা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বাংলার শাসকশিবিরে যোগ দিয়েই বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা। তিনি বলেন, ”একমাত্র তৃণমূলই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা রাখে। তাই এখানকার সদস্য হতে পেরে আপ্লুত।”
[আরও পড়ুন: ‘শুধু দিল্লি নয়, সংসদ গোটা দেশের’, কেন এমন মন্তব্য মিমি চক্রবর্তীর?]
দলত্যাগের নেপথ্যে তৃণমূলের বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের অনুপ্রেরণার পাশাপাশি মুকুল সাংমা কংগ্রেসকে দুষেছেন। তাঁর কথায়, ”২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমরা নিশ্চিত ছিলাম, সরকার আমরাই গড়ব। কিন্তু আমরা তা করে উঠতে পারিনি। বরং নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সদস্যদের ভাঙানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়ে যায়। বিরোধী হিসেবে আমাদের যা কর্তব্য তা আমরা করে উঠতে পারিনি। দেশের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।” তাই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এবার তাঁদের মধ্যে থেকেই সভাপতি নিয়োগ করে মেঘালয়ে সংগঠন কাজ শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।