ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সাগরদিঘির বিধানসভা উপনির্বাচনে হার কেন? কারণ জানতে দলীয়স্তরে তদন্তের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নবান্নে ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সাগরদিঘির ভোটের ফলাফল নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ও দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা সারেন তিনি। আলোচনার পরই দলের কয়েকজন নেতাকে বেশকিছু দায়িত্ব দেন তৃণমূল সভানেত্রী।
সূত্রের খবর, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দলীয় নেতৃত্বকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, গত ১২ বছর ঘরে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের জন্য প্রচুর কাজ হয়েছে। এরপরেও কেন সাগরদিঘীর এই হাল, প্রশ্ন তৃণমূল সভানেত্রী। রাজ্যের কোথাও কোনও ক্ষোভ রয়েছে কি না, যদি ক্ষোভ থাকে-তার কারণ কী? কোথায় কোথায় ক্ষোভ রয়েছে? আগামীদিনে তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: অ্যাডিনো সংক্রমণে ভরসা জল আর প্যারাসিটামল, বার্তা ICMR-এর]
ক্ষোভের কারণ খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, জাকির হোসেন, সাবিনা ইয়াসমিন-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাকে। তাঁরা কারণ পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবেন দলকে। প্রসঙ্গত, এবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে ৮৭ হাজার ৬১১টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ৬৪ হাজার ৬৩১। আর বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে হারে কারণ এবার তদন্ত শুরু করার কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তৃণমূল শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে সাগরদিঘিতে অনৈতিক ভাবে বিজেপি এবং কংগ্রেস আঁতাঁত করে আসছে। বাস্তব পরিসংখ্যানও বলছে বিজেপির ভোটের একটা বড় অংশ এবার কংগ্রেসে গিয়েছে। যে কারণে কংগ্রেসের ভোট অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আর বিজেপি অনেক পিছিয়ে নেমে এসেছে তৃতীয় স্থানে।