সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেমন আচরণ পেয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই যে ফিরিয়ে দেবেন, তা নয়। তাই সময় দিয়েও দিল্লিতে তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ না করা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী যখন কলকাতায় (Kolkata) এলেন, তাঁকে স্বাগত বার্তাই দিল শাসকদল। তবে কি এখানে এসে তৃণমূলের সঙ্গে দেখা করবেন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সেটাও সম্ভবত হচ্ছে না। শুক্রবার রাজভবনের সামনে ধরনামঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আহ্বান জানিয়েছিলেন, ”কলকাতায় আসছেন, আসুন না রাজভবনের সামনে। আমরা তো আছি এখানেই।” এর পর অবশ্য তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেই হয়ত ফের দিল্লি পালিয়ে যাবেন সাধ্বী নিরঞ্জন।
গত মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লির কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওইদিন সন্ধেবেলা সময় দিয়েও দেখা করেননি সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। উলটে কৃষি ভবন থেকে তাঁদের জোর করে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয় দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। কিন্তু শনিবার তাঁকে কলকাতায় স্বাগতই জানিয়েছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মহুয়া মৈত্র, অরূপ বিশ্বাসরা সাফ জানিয়েছেন, ”আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছিল, আমরা তো তেমনটা করব না। উনি আসুন, স্বাগত।” অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ‘‘এ (বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন) হল মানুষের নজর ঘোরানোর একটি প্রয়াস। কারণ, কলকাতার রাস্তায় জনজোয়ার দেখে, এমনকী আজও যে বিপুল সংখ্যায় মানুষ আমাদের ধরনায় যোগ দিয়েছেন, তা দেখে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ চিন্তিত। তিনদিন আগে আমরা যখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কৃষি ভবনে গিয়েছিলাম, মহিলা সাংসদদের চুলে মুঠি ধরে এবং ধাক্কা মেরে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আগামিকাল ওদের নেতারা এখানে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এটাই বাংলার শক্তি।”
[আরও পড়ুন: তিস্তার জলে ভেসে আসা অজগরের শরীরে ক্ষত, জরুরি অপারেশনে বাঁচালেন চিকিৎসকরা]
শনিবার নির্দিষ্ট সময় বেলা ১১.৩০ নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। সূচি অনুযায়ী, তিনি সল্টলেকের বিজেপি কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। এছাড়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা হওয়ার কথা। এদিকে, তিনদিন ধরে রাজভবনের সামনে ধরনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল প্রতিনিধি দল, সঙ্গে ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিতরা।
[আরও পড়ুন: সিকিমের হড়পা বানে দেহ ভেসে গেল বাংলাদেশে! কোচবিহার সীমান্তে হস্তান্তর করল BGB]
সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি কলকাতা (Kolkata)এসেছেন, তাই অভিষেকরা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে চাইলে বিজেপি কার্যালয় গিয়ে তা দিতেই পারেন, এই প্রস্তাব দিয়ে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রস্তাব, তিনি সেই ব্যবস্থা করে দেবেন। তার পালটা জবাবে তৃণমূল X হ্যান্ডলে সাফ জানায়, ”বিজেপি নেতারা যে দিল্লির জমিদারদের আওতায় থাকেন, তা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নিজেদের শিরদাঁড়া শক্ত করে বসে আছি। এখান থেকে একচুলও কাউকে নড়ানো যাবে না। বঞ্চিতদের জন্য ভাবনা থাকলে আপনারা এই মঞ্চে এসে দেখা করুন তাঁদের সঙ্গে।”