নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: শিল্পপতি গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) গ্রেপ্তার করার দাবি জোরালো করতে এবার অভিনব পন্থা নিল তৃণমূল। দলের সংসদীয় দলের তরফে একটি করে টুপি সেবি দপ্তর, অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীদের কাছে পাঠানো হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ওই টুপিগুলির উপরে আবার লেখা থাকবে ‘অ্যারেস্ট আদানি’। অর্থাৎ আদানিকে গ্রেপ্তার করা হোক।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট (Hindenburg Report) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি ইস্যুতে সরব তৃণমূল। জানা গিয়েছে, আগামী দিনে আদানির গ্রেপ্তারির দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াবে তৃণমূল (TMC)। এখানেই শেষ নয়, সরকারের উপর চাপ বাড়াতে অভিনব পন্থে নিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে একটি বিশেষ ‘টুপি’ তৈরি করা হয়েছে। যাতে লেখা আছে ‘অ্যারেস্ট আদানি’। সেই টুপিতে সব তৃণমূল সাংসদ সই করবেন। সেই সই সম্বলিত চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) কাছে। অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীদের কাছে। এবং সেবির দপ্তর। তৃণমূল সাংসদদের তিন জন করে প্রতিনিধি দল নিয়ে যাবেন টুপিগুলি। ইডি এবং সিবিআই দপ্তরেও ওই টুপি পাঠানো যায় কিনা ভাবনা চিন্তা করছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: প্যান-আধার লিংক করতে হাজার টাকা কেন? মোদিকে চিঠি অধীরের]
তৃণমূলের দাবি, এটা ১ লক্ষ কোটির দুর্নীতি, আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তার করতে হবে। মঙ্গলবারও আদানির গ্রেপ্তারির দাবিতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদদের মুখে দু’টি স্লোগান শোনা গিয়েছে। এক, আদানি কো অ্যারেস্ট করো অর্থাৎ আদানিকে গ্রেপ্তার করা হোক। দুই, দেশ কা হ্যায় বুরা হাল, আদানি কাল, আদানি কাল।
[আরও পড়ুন: ভারতে খর্ব নাগরিক অধিকার, স্বাধীনতা নেই সংবাদমাধ্যমের! মানবাধিকার নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
এদিকে ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়টা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করতে চলেছে তৃণমূল-সহ আট বিরোধী দল। তাঁদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের চাপে ফেলার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এই আট বিরোধী দলের তালিকায় আছে আম আদমি পার্টি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, এনসিপি, শিব সেনার উদ্ধব শিবির, আরজেডি, জেডিইউ এবং তৃণমূল।