ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কোনও দ্বন্দ্ব নয়, যেখানে যিনি প্রার্থী হবেন, তাঁর হয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সব পুরপ্রতিনিধিদের। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে কাউন্সিলরদের বৈঠকে কড়াভাবে এই বার্তাই দিল তৃণমূল (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। বলা হয়েছে, প্রার্থীকে যতই অপছন্দ হোক, তাঁর প্রচারে গা-ছাড়া মনোভাব চলবে না। এমনকী নিজের নিজের ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীকে বেশি লিড দিতে পারলে, মিলবে পুরস্কারও। পাশাপাশি আরও এক গুরুত্বপূ্র্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলরদের। বিধানসভা ভোট পর্ব মিটলেই বাদ্যি বেজে যাবে কলকাতা পুরসভার। সেই লড়াইয়ের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবারই রাজ্যের ২৯৪ আসনের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল। সেই তালিকার অনেকটাই তৈরি হয়েছে কাউন্সিলরদের মার্কশিটের উপর ভিত্তি করে। কোন জনপ্রতিনিধির কেমন পারফরম্যান্স, তার খতিয়ান নেওয়া হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলরদের থেকে। তাই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সি, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন সেখানে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রার্থী অপছন্দ হলেও কোনও দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখলে চলবে না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রার্থী বাছাই করেছেন। তাই সেই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই প্রার্থীদের হয়ে মাঠে নামতে হবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলকেই সমর্থন, বাংলার বিধানসভা ভোটে আলাদা প্রার্থী দেবে না শিব সেনা]
সূত্রের খবর, ২ মে অর্থাৎ বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আড়াই মাসের মাথায় হতে পারে কলকাতা পুরসভার ভোট। বিধানসভার পর তাই সেই লড়াইয়েও ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কাউন্সিলরদের। দলীয় সূত্রে খবর, এ বিষয়ে যে সব কাউন্সিলরদের পারফরম্যান্স খারাপ, তাঁদের ঘাড়েই বাড়তি দায়িত্ব পড়েছে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, নিজেদের ওয়ার্ডে যিনি যত বেশি ভোটে প্রার্থীকে এগিয়ে দিতে পারবেন, তাঁর নম্বর ততই বাড়বে। এমনকী এর জন্য কাউন্সিলররা এক কোটি টাকা করে পুরস্কারও পাবেন। এই টাকা নিজেদের ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন কাউন্সিলররা। যাতে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে বিধানসভা ভোটে নিজেদের এলাকার প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে পুরপ্রতিনিধিরা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন, সেই লক্ষ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।