সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট সবে শুরু হয়েছে রাজ্যে। শনিবার ৫ জেলার ৩০ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়েই চলছে ভোট। তবে তার মাঝে নির্বাচনী বিধিতে বদলের দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনরা। তাঁদের দাবি, পোলিং এজেন্ট নিয়ে কমিশনের যে নয়া নিয়ম, তা বদল করতে হবে।
এতদিন নিয়ম ছিল, যে কোনও রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট (Polling agent) হতে গেলে ওই বুথ এলাকা কিংবা পাশের বুথের বাসিন্দা হতে হয়। তবে এবার সেই নিয়মে কিছুটা রদবদল এনেছে নির্বাচন কমিশন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে পোলিং এজেন্ট হতে গেলে কোনও নির্দিষ্ট বুথের নয়, ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা হলেই হবে। কোনও বুথে কোনও রাজনৈতিক দলের সংগঠন দুর্বল হলেও যাতে সবাই সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। শনিবার, বঙ্গের ভোট শুরুর দিন থেকে তাই সেই নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন বুথে দূরবর্তী কোনও বুথের পোলিং এজেন্ট বসছেন। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি ‘বহিরাগত’ বলে প্রতিপন্ন হচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রামে ঘুরছে বহিরাগত গুন্ডারা’, প্রমাণ-সহ কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের]
আর তাতেই বুথগুলিতে গন্ডগোল তৈরি হচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপিও এই ফাঁক গলে নানা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তৃণমূল প্রতিনিধিদলের দাবি, আগের নিয়মই ফিরিয়ে আনা হোক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এখনও রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। এখন পুরনো নিয়ম ফিরলে, সেসব জায়গায় পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাবে না গেরুয়া শিবির। তৃণমূল তাতে সুবিধা পাবে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
[আরও পড়ুন: মনোনয়নের মিছিল থেকে হামলার অভিযোগ, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তেজনা সল্টলেকে]
যদিও শুধু এই দাবিই নয়, প্রথম দফার ভোটে সার্বিক চিত্র কমিশনের সামনে তুলে ধরেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে জনতাকে ভোটদানে প্রভাবিত করছে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগও করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটদানের হারে গরমিল হওয়া নিয়ে খোদ কমিশনের বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।