অভিরূপ দাস: রতন টাটার (Ratan Tata) বিপক্ষে ছিলাম না। শিল্প হোক আমরাও চাই। তবে তা কৃষিজমিতে নয়। বুধবার শিল্প নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
সংজ্ঞা বদলাচ্ছে ব্যবসার। শুধুমাত্র হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নয়, নতুন মৌলিক পরিকল্পনার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ‘স্টার্ট আপ বিজনেস’ অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান করছে। এমনই ১০০ জন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগপতি তাঁদের নতুন ব্যবসার ডালি নিয়ে এসেছেন বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপোতে (Trade Expo)। বুধবার যার পর্দা উঠল বিশ্ব বাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে। এদিন বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো ২০২৩-এর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu), মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে।
[আরও পড়ুন: সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসর ত্রিপুরার মানিক সরকারের, লড়বেন না বিধানসভা নির্বাচনে]
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে দেশের মধ্যে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পপতিদের ঋণ দিচ্ছেন। ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প বাংলায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করেছে। অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আফসোস, নতুন প্রজন্ম ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছে না। এদিন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলেরা আর ব্যবসায় আসছে না। তারা পড়াশোনা করে বিদেশে গিয়ে কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘যার বুকের ছাতি চওড়া সেই ব্যবসা করতে আসে।’’
[আরও পড়ুন: অর্থনেতিক ও সামাজিক দিক থেকে বিশ্বের প্রথম সারিতে ভারত, মোদির দাবিকে মান্যতা রাষ্ট্রপতির]
প্রায় ৩০০ স্টল রয়েছে বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপোতে (Global Trade Expo)। রয়েছেন পঁচাত্তর জনেরও বেশি বিনিয়োগকারী। ২৫ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই শিল্প-মেলা। বাংলার একাধিক কলেজের প্রায় তিনশো ছাত্রর কর্মসংস্থান হবে এই মেলা থেকে।