ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সিবিআই পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে পথে নামছে তৃণমূল (TMC)। এমনকী, রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁদের দাবি, বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) অভিযোগ, “গ্রেপ্তারি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্তরা। তাদের গ্রেপ্তারিতে পক্ষপাতিত্ব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।” এই অভিযোগে সিবিআইয়ের (CBI) উপর চাপ বাড়াতে এবার পথে নামছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে এবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার তলবে গরহাজির নূপুর শর্মা]
সোমবার রাজ্যের তিনপ্রান্তে মিছিল করবে তৃণমূল। দুপুর তিনটেয় সল্টলেকের সিবিআই (CBI) দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূলের ছাত্র এবং যুব সংগঠন। নেতৃত্বে থাকবেন বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের মতো নেতারা। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এবং হলদিয়াতেও বিক্ষোভ মিছিল এবং স্ট্রিট কর্নার হবে। হলদিয়ার বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকবে মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, বিধায়ক শিউলি সাহা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা। অন্যদিকে কাঁথিতে থাকবেন মন্ত্রী অখিল গিরি।
তবে শুধুমাত্র বিক্ষোভ মিছিল. স্ট্রিট কর্নার নয়। একই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজভবনে রাজ্যেপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধি। নেতৃত্বে থাকবেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়াও সেই দলে থাকবেন কুণাল ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, অর্জুন সিং সায়নী ঘোষ, ফিরোজা বিবি-সহ অন্যরা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কথায় কথায় বিজেপি নেতারা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন। এবার পালটা বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে ধনকড়ের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নয় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। তাই এসব করছে।” এই কটাক্ষে অবশ্য আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর, কর্মব্যস্ত দিনে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা]