সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। ঘোষণা আগেই ছিল। কিন্তু কবে পালিত হবে এই দিবস, তা এতদিন স্পষ্ট করেনি রাজ্য সরকার। শহিদ দিবস অর্থাৎ ২১ জুলাইয়ের দিন ‘খেলা হবে’ দিবসের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Mamata Banerjee)। কবে পালিত হবে ‘খেলা হবে দিবস’?
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দেন, ১৬ আগস্ট পালিত হবে ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe Diwas) দিবস। কিন্তু কেন এই দিন বেছে নিলেন, সেই সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি। তবে বাংলার ক্রীড়া জগতের ইতিহাস এটি অন্যতম কালো দিন। কেন? তা জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েক দশক।
[আরও পড়ুন: 21 July: ‘দিল্লির দুই স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে’, বার্তা অভিষেকের]
সালটা ১৯৮০। ইডেন গার্ডেন্সে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ চলছিল। খেলা চলাকালীন দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতেও। বিশৃঙ্খলার জেরে মৃত্যু হয় ১৬ জন দর্শকের। তার পর থেকেই এই দিনটি বঙ্গ ফুটবলের ইতিহাসে রক্তাক্ত দিবস। দিনটি এখনও ‘জাতীয় ফুটবলপ্রেমী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এবার থেকে দিনটি ‘খেলা হবে দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হবে।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটযুদ্ধের আগে থেকে রাজ্যজুড়ে বেজায় জনপ্রিয় হয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। এবার সেই স্লোগানকে সামনে রেখে এগতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই নামে প্রকল্প আনার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শুধু প্রকল্প নয়, রাজ্য সরকার পালন করবে ‘খেলা হবে’ দিবস। এই দিন ৫০ হাজার ফুটবল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: 21 July: ‘BJP-কে ভারত ছাড়া না করা পর্যন্ত গোটা দেশে খেলা হবে’, হুঁশিয়ারি মমতার]
‘খেলা হবে’ প্রকল্পটা আসলে কী? ঠিক হয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল বিতরণ করা হবে। রাজ্য সরকারের ধারণা, এর ফলে গ্রাম বাংলার বহু ফুটবলার উপকৃত হবেন। আর ফুটবলের প্রতি সকলের আগ্রহ জন্মাতে বাধ্য। প্রতিটি জেলায় যুব আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় যতগুলি ক্লাব রয়েছে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি কতকগুলো ক্লাবকে কীভাবে ফুটবল বণ্টন করা হবে।