shono
Advertisement

জখম তৃণমূল সুপ্রিমো, কর্মসূচিতে বদল, নন্দীগ্রাম দিবসেই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ শাসকদলের

কী কী প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে, আগাম দেখে নিন।
Posted: 01:53 PM Mar 12, 2021Updated: 02:10 PM Mar 12, 2021

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কথা ছিল, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে তৃণমূলের (TMC) নির্বাচনী ইস্তেহার। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনা। বুধবার নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশের পর সন্ধেবেলা মন্দির দর্শনে গিয়ে জখম হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আপাতত এসএসকেএমে ভরতি তিনি। ফলে বাতিল হয়েছে যাবতীয় দলীয় কর্মসূচি। এই পরিস্থিতিতে ইস্তেহার প্রকাশের নতুন দিনক্ষণ জানাল তৃণমূল। ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রাম দিবসেই ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে, খবর দলীয় সূত্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে থাকবেন ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে।

Advertisement

১১ তারিখই প্রকাশ্যে আসত কোন কোন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছে রাজ্যের শাসকদল। আচমকা দুর্ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জখম হওয়ায় তা পিছিয়ে গিয়েছে। ১৪ মার্চ কালীঘাটে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করবেন দলের সুপ্রিমো। রাজ্যের উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। সেই পর্বেই করোনা ও আমফান পর্বে কেন্দ্রের সরকারের কাছে কীভাবে বাংলা বঞ্চিত হয়েছে ছত্রে ছত্রে সেই কথা উঠে এসেছে তৃণমূলের ইস্তেহারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ফিরলেই তা প্রকাশ করা হবে। তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের চোখ বোলানোর পালা।

[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে জখম মুখ্যমন্ত্রী: হাই কোর্টে দায়ের মামলা, দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল]

ইস্তেহারের একটা বিশেষ অংশে গুরুত্ব পেয়েছে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন ও নানা প্রকল্প। বিশেষ জায়গা পেয়েছে নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরকে নিয়ে নানা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এসবের মধ্যেই উঠে এসেছে করোনা ও আমফান পর্বে কেন্দ্রের সরকারের বঞ্চনার কথা। করোনা ও আমফানের জোড়া ধাক্কায় চাপ বেড়েছে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ে। অথচ কেন্দ্রের কাছে বারবার আবেদন করেও তার জন্য সহযোগিতা তো মেলেইনি, উপরন্তু রাজ্যের প্রাপ্য টাকাও মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিযোগ করেছেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমফানে অগ্রিম বাবদ এক হাজার কোটি টাকা মিলেছিল। কিন্তু তার পর আর কোনও সাহায্যই মেলেনি। ইস্তেহারে বিস্তারিতভাবে সে কথা লেখা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন,’ আহত মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় টুইট রাজ্যপালের]

করোনায় প্রথম তিন-চার মাসেই চার হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য আলাদা করে কিছু না চাইলেও প্রাপ্য জিএসটি (GST) ক্ষতিপূরণবাবদ বেশ কিছু টাকা দাবি করেছিল রাজ্য। বিগত বছরের কিছু মিললেও তা নামমাত্র। ফলে এই অবস্থার চাপও পড়েছে। তার মধ্যেও ভ্যাকসিন নিয়ে আরও একটি দাবি করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে তা দিতে চান। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেই ছত্রে ছত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা উঠে এসেছে দলের নির্বাচনী ইস্তেহারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement