ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে পরপর দু’দিন রেডরোডে ধরনা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির কাছ থেকে রাজ্য়ের পাওনা আদায় করতে রাজ্যজুড়ে স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। একই দাবিতে কলকাতার রাস্তায় ধরনা দিয়েছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এবার সেই আন্দোলনের ঝাঁজ পৌঁছে যাবে উত্তরের জেলাগুলিতেও। আগামী ২২ ও ২৩ মে ফের ধরনায় বসবেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। তবে এবার ধরনাস্থল কলকাতা নয়, শিলিগুড়ি।
মার্চে রেড রোডের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিভিন্ন ইস্যুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। ওয়াশিং মেশিন নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেন মমতা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও বিক্ষোভ দেখান। সেই সঙ্গে হুঙ্কার দেন, “প্রয়োজন পড়লে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ধরনায় বসব। সে হিম্মত আমার আছে। আমি তো জনপ্রতিনিধি।” রাজ্যের পাওনা আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু সাক্ষাৎ হয়নি। প্রতিবাদে রাজ্যের ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে বঞ্চিতদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে দিল্লিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাঝেই কেন্দ্রর উপর চাপ তৈরি করতে রেডরোডে ৩২ ঘণ্টার ধরনা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মালা রায়-সহ তৃণমূলের মহিলা নেতৃত্ব। এবার সেই আন্দোলনের ঝাঁজ পৌঁছে যাবে উত্তরেও।
[আরও পড়ুন: কাটল জট, কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? চূড়ান্ত করে ফেলল কংগ্রেস]
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এবার শিলিগুড়িতে টানা ৩২ ঘণ্টা ধরনা চলবে। ২২ ও ২৩ মে চলবে ধরনা। সেখানে রাজ্যের মহিলা নেতৃত্বের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলির মহিলা তৃণমূলের সদস্যরাও থাকবেন। অংশ নেবেন আদিবাসী, রাজবংশী মহিলারাও। এমনই জানিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টচার্য। তিনি জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ করেন মহিলারা, তাই বকেয়া চেয়ে পথে নামছে মহিলা তৃণমূল।